অন্যান্য কলকাতা 

বারুইপুর আদালতে জামিন পাননি, আগামি কাল কী ব্যাঙ্কশালে কী জামিন পাবেন নওশাদ ? আইএসএফ নেতার বার বার জামিন নাকচের রহস্য কী? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বুলবুল চৌধুরি : গতকাল নওশাদ সিদ্দিকী বারুইপুর আদালতে জামিন পাননি । তাঁকে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারুইপুর আদালত । অর্থাৎ লেদার কমপ্লেক্স থানার মামলায় এখন জেলেই থাকতে হবে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদাকে । এদিকে আগামী কাল অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি নওশাদকে কলকাতার নগরদায়রা আদালতে তোলা হবে। সেখানে তিনি কী জামিন পাবেন ? এই প্রশ্নটি সাধারণ মানুষের মনে ঘেরাফেরা করছে । নওশাদের গ্রেফতারিতে এই রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজ তো বটেই এমনকি সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন দিনের পর দিন নওশাদকে জেল বন্দী করে রাখছেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌ্তুহল বাড়ছে ।

প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপির মতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী মুসলিম বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন ? আম জনতার মনে প্রশ্ন এখন পর্যন্ত স্বচ্ছ ভাবর্মূর্তি, জনপ্রিয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর রাজনীতির ধরণ তৃণমূলের নেতাদের চেয়ে অনেক আলাদা। নওশাদ সিদ্দিকী যে মূল্যবোধের রাজনীতি করেন তা থেকে তৃণমূল নেতাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত । একজন জনপ্রিয় বিধায়ক যাতে বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে না পারেন তার জন্যই কী নওশাদকে জেল বন্দী করে রাখা হয়েছে ? এই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে উঠছে । সাধারণত বিধানসভার অধিবেশনের জন্য বিধায়কদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়ে থাকে, ব্যতিক্রম নওশাদ কেন ?

Advertisement

বাংলার মানুষ জানতে চাইছে নওশাদ সিদ্দিকীকে আর কতদিন জেলে আটকে রাখবে মমতা প্রশাসন ? আর এই জেল যাত্রার ফলে মমতারও তো রাজনৈতিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে । তারপরেও কেন এবং কাকে খুশি করার জন্য মমতা নওশাদকে জেলে বন্দী রেখেছেন তা নিয়ে জনমানষে প্রশ্ন উঠছে। আসলে রাজনৈতিক মহলের মতে আসন্ন নির্বাচনে যাতে আইএসএফ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী না হতে পারে তার জন্যই নওশাদকে জেলে আটক করে রাখা হয়েছে । কারণ বিগত কয়েক মাস ধরে নওশাদ সিদ্দিকী রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সফরে যান। আর সেখানে তাঁর সভা সমাবেশ ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ ও উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে তাতে অনেকটাই ঘাবড়েছে শাসক তৃণমূল দল । নওশাদ সিদ্দিকী  এই রাজ্যে দলিত, আদিবাসী সমাজ ও মুসলিম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে প্রমাদ গুণছে আরএসএসও। ফলে আগামী দিনে নওশাদ সিদ্দিকী এই রাজ্যে একজন জননেতা হয়ে যে উঠতে যে চলেছেন তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । তবে তৃণমুল এখন তাঁকে নানা মামলায় জড়িয়ে জেলে রাখার চেষ্টা করবে । কারণ পঞ্চায়েত জিততে হলে দলিত ও মুসলিমদের নেতাকে জেলে রাখতে হবে । কিন্ত নওশাদকে জেল বন্দী করে হয়তো সাময়িক লাভ হতে পারে শাসক দলের ,তবে আগামী দিনে আরও বড় খেসারত যে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস দিতে হবে তা এখন থেকে বলে দেওয়া যায় । ক্ষমতার মোহে হয়তো দেওয়াল লিখন পড়তে পারছেন না তৃণমূলের নেতারা কিন্ত বাস্তব নওশাদকে জেলে রেখে তা আটকানো যাবে না ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ