গোবিন্দপুর অনুরাজ বিদ্যামন্দিরের বাৎসরিক ও ৭০বর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট
বিশেষ প্রতিনিধি: সম্প্রতি হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর থানার গোবিন্দপুর অনুরাজ বিদ্যামন্দির ৭০বর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক বিরাট সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ তথা প্রাক্তন উপাচার্য ড,পবিত্র সরকার, সাহিত্যিক পৃথিরাজ সেন,শিশু সাহিত্যিক কবি আব্দুল করিম প্রমুখ।
পবিত্র সরকার বলেন,লেখা পড়া শিখে মানুষ হতে হবে এই স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে হবে।’পৃথিরাজ সেন বলেন,’ ছাত্রছাত্রী দের উদ্দেশ্যে বলেন আমার মধ্যে আগামী দিনের রবীন্দ্রনাথ,নজরুল, বিবেকানন্দ জসিমুদ্দিন দেখতে পারছি, তোমরা সবই বড় হও মানুষ হও।’
আব্দুল করিম বলেন, এই বিদ্যালয় আমার স্মৃতি বিজড়িত.১৯৮৯ সালে ২৯ জন ছাএ ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলাম.বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে নতুন নতুন বিল্ডিং হয়েছে. পথঘাট সিমেন্টে ঢেকেছে. তমাদের মনোসংযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে প্রকৃত মানূষ হতে হবে। এলাকার মানূষের কথায় উঠে আসে শিক্ষা সংস্কৃতি ও সমাজ কর্মে অবদান।সাধারন মানূষের কথায় তার বক্তব্য ও কবিতায় ফুটে ওঠে সম্প্রীতির সুর।
স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক চন্দ্রশেখর সিনহা বলেন,এর আগেও বহু জ্ঞানীগুণী ব্যাক্তিবর্গ কৃষ্ণা বসু, মানেবেন্দ্রনাথ মুখার্জী, দেদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় সৈয়দ শামসুল আলম, হোসেনুর রহমান,রানা চট্টোপাধ্যায় জিয়াদ আলি ড.রনজিৎ ধর প্রমুখ এই বিদ্যালয়ে এসেছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কালিপদ অধিকারী সহকারী প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন নোয়াপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং মাজু আর,এন বসু গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোজ পাত্র শিক্ষক পরিচালক সমিতির সদস্য মদন কোলে,প্রশান্ত সাধুখাঁ, মোস্তাকিম আলী মল্লিক প্রমুখ।
প্রায় পনেরোশো ছাত্রছাত্রীর উপঝে পড়া ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মত।ছাত্র ছাত্রীদের নাচ গান নাটক কবিতায়।বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন ভরে ওঠে। জগৎবল্লভপুর ব্লকের অন্যতম এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
আগামীতে আরো ভালো ফলাফল করবে সকল অতিথির বক্তব্যে এই আশা সকলের।অতিথিদের ফুলের তোড়া উওরিও ও মেমোন্টো দিয়ে সম্মানিত করা হয়।