কলকাতা 

Madrasah Service Commission: মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগেও কী এবার সিবিআই তদন্ত? বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, স্কুল সার্ভিস  কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ সেই সময়কার শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে জড়িত রাঘব বোয়ালরা সবাই এখন জেলে। আর ঠিক এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ওয়ার্ক এডুকেশন পরীক্ষায় আব্দুল হামিদ নামে এক পরীক্ষার্থীর ওএমআরশিট কারচুপি করা হয়েছে এই অভিযোগে গত সেপ্টেম্বর মাসেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই খাতা ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সেই তদন্ত রিপোর্ট আজ কলকাতা হাইকোর্টে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জমা পড়ে। আজ বুধবার সেই মামলার শুনানি হয় শুনানি চলাকালীন সময়ে  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই রিপোর্ট দেখার পর কার্যত করা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,‘‘সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল)-র রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে, এই উত্তরপত্রে দু’ধরনের কালি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে কে বা কারা এই কাজ করেছেন তা তদন্ত করতে এই মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে দিতেই পারি।’’

Advertisement

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে বসে এই মন্তব্য করার পর জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের দাবী স্বচ্ছতার প্রশ্নে মাদ্রাসার সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। বদলি নিয়ে যে স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তারও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে শিক্ষক মহল মনে করছে। শুধু তাই নয় সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে ওয়ার্ক এডুকেশন শিক্ষক নিয়োগে একাধিক অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সার্বিকভাবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের উপরে সিবিআই তদন্তর নির্দেশ দিলে সবচেয়ে ভালো হয় বলে রাজ্যের সাধারণ মানুষ মনে করছে।

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি এখানে এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। সার্ভিস কমিশনের মত গুরুত্বপূর্ণ স্বশাসিত সংস্থার চেয়ারম্যান পদে কিভাবে একজন আমলা দিনের পর দিন বসে থাকেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই রাজ্যের বাঙালি মুসলিম সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তিকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে কেন বসানো হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব কিছু জেনে ও বুঝে নীরব কেন রয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ