দেশ 

গরুকে জাতীয় পশুর মর্যাদা ও গোহত্যায় মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, অবিলম্বে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আবেদনকারীকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলল ‘‘এটা কি আদালতের কাজ? আপনি কী ভাবে এমন আবেদন জানাতে পারেন? এতে কোন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে?’’

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কে নির্দেশ আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দারস্ত হয়েছিলেন এক আবেদনকারী আজ সোমবার সেই মামলার শুনানিতে আবেদনকারীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে  দেশের শীর্ষ আদালত।

গরুকে জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ‘গোবংশ সেবা সদন’-সহ কয়েকটি সংগঠনের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি, গোহত্যায় মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও আবেদনে জানানো হয়েছিল। কিন্তু দুই বিচারপতির বেঞ্চ এ বিষয়ে কেন্দ্রের মত চেয়ে নোটিস পাঠানোর আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই সঙ্গে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে আদালত বলে, ‘‘এটা কি আদালতের কাজ? আপনি কী ভাবে এমন আবেদন জানাতে পারেন? এতে কোন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে?’’

Advertisement

এমন আর্জির জন্য আবেদনকারী পক্ষের জরিমানা করা উচিত বলেও জানায় শীর্ষ আদালত। জানায়, আবেদন প্রত্যাহার করে না হলে জরিমানা করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে একটি মামলার শুনানিতে রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মা একটি মামলার শুনানিতে গরুকে ‘মাতা’ বর্ণনা করে বলেছিলেন, ‘‘গোহত্যার চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছুই হতে পারে না।’’ সংবিধানের ৪৮ ও ৫১এ(জি) ধারা অনুযায়ী গরুকে জাতীয় পশুর আইনি মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

এর পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোহত্যা সংক্রান্ত একটি মামলার অভিযুক্তের জামিনের শুনানিতে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি শেখরকুমার যাদব বলেছিলেন, ‘‘গরু ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত। তাই গরুকেই দেশের জাতীয় পশু করা উচিত।’’ অভিযুক্তের জামিন খারিজ করে তিনি বলেছিলেন, বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘গরুর ভাল হলে তবেই দেশের ভাল হবে।’’ এমনকি, গরুর ‘মৌলিক অধিকার’ থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ