কলকাতা 

তৃণমূলে এবার বিদ্রোহের পথে ‘জনপ্রিয় মুসলিম নেতা’ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী!‘‘বাংলা জুড়ে ক্রেজ আছে সিদ্দিকুল্লাহর,ফুটবলের মতো আমাদের ব্যবহার করবেন না, আমাদের সম্মান দিন” তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে ভিডিও বার্তায় কেন হুঁশিয়ারি দিলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী ? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম: এবার কি বিদ্রোহের পথে হাঁটতে চলেছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী? এই প্রশ্নটা সামনে এসেছে এই কারণেই মন্তেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী হওয়া সত্ত্বেও তাকে এড়িয়ে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মাওলানা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালী নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জমিয়েতের বিভিন্ন কাজে কলকাতার বাইরে ছিলেন ঠিক এই সময় মন্তেশ্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি যাকে করা হয়েছে তিনি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরোধী বলে জানা গেছে। আর এ নিয়ে ই খুব ব্যক্ত করেছেন এই মুহূর্তে পশ্চিমবাংলার জনপ্রিয় মুসলিম নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিওতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে জনপ্রিয় নেত্রী বললেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেছেন তিনি উঠতি নেতা একইসঙ্গে নিজের কথা বলতে গিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেছেন আমারও ক্রেজ আছে!

Advertisement

আজ বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়ো বার্তায় মন্তেশ্বরের বিধায়ক বলেন, ‘‘মমতার জনপ্রিয়তা আছে, অভিষেক উঠতি যুবক। কিন্তু আমারও ক্রেজ আছে।’’ তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাকে ব্লক সভাপতি না করে তাঁরই অজান্তে অন্য নেতাকে ওই পদে আনায় সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য, ‘‘বাংলা জুড়ে ক্রেজ আছে সিদ্দিকুল্লার। আমাকে ছাড়া কী হবে মন্তেশ্বরের, তা বলা যাবে না।’’ যদিও বাংলার জনরব ওই ভিডিয়ো যাচাই করেনি।

মন্তেশ্বর ব্লকের সভাপতির পরিবর্তন নিয়ে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে এ ভাবে অপমান না করলেও পারতেন। আমি ২৯৩টি সিটে নাক গলাইনি। কিন্তু আমার বিধানসভা কেন্দ্রে কে কী করবেন, অন্যরা কী করবেন তা বলে দেওয়া সমীচীন নয়।’’ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য, ‘‘প্রয়োজনে অন্য পথ অবলম্বন করতে পারি। আমার রাস্তা খোলা আছে। আমার হাতে যে ভোট আছে, বাংলার ক’জন মুসলিম নেতার হাতে সেই ভোট আছে, দয়া করে ভেবে দেখবেন। ফুটবলের মতো আমাদের ব্যবহার করবেন না। আমাদের সম্মান দিন।’’

দীর্ঘ ভিডিয়ো বার্তায় সিদ্দিকুল্লা এ-ও বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেমন জনপ্রিয়তা, পশ্চিমবঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক জন উঠতি যুব মুখ। আমি তাঁর কাজের প্রশংসা করি। কিন্তু সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর নাম আছে সারা পশ্চিমবাংলায়।’’ এর আগেও কয়েকবার ‘বিদ্রোহী’ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে সিদ্দিকুল্লাকে। তিনি বলেন, ‘‘বর্ধমানের ১৬টি বিধানসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হয়েছি। বর্ধমানের কয়েক জন নেতামন্ত্রী আমার নামে দিদির কাছে কানভারী করছে। আমি বলব, সিদ্দিকুল্লার কেরিয়ার নষ্ট করবেন না। কার পায়ের তলায় কত মাটি আছে, জানি।’’

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ