কলকাতা 

নবান্ন অভিযানের শুরুতেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ শুভেন্দু-লকেট-রাহুলের, বুক চিতিয়ে নেতৃত্ব দিলেন দিলীপ-সৌমিত্র খাঁ, হাওড়া স্টেশনের বাইরে গ্রেফতার হলেন সুকান্ত , বিজেপির নবান্ন অভিযান তেমন সাড়া ফেলতে পারলো না !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : নবান্ন অভিযানকে ঘিরে বিজেপির সাংগঠনিক দূর্বলতা প্রকাশ্যে চলে এলো । যতটা গর্জে ছিল ততটা বর্ষাতে পারল না শুভেন্দু-সুকান্ত দিলীপরা । কার্যত পুলিশ প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পন করে বসে বিজেপির নেতারা । সুকান্ত মজুমদার ,দিলীপ ঘোষ এবং সৌমিত্র খাঁয়েরা খানিকটা চেষ্টা করলেও নবান্ন অভিযানের সূচনাতেই পুলিশের কাছে কার্যত আত্মসমর্পন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি এবং রাহুল সিনহা ।

নবান্ন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পুলিশের হাতে আটক হয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে পুলিশ আটক করছে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিংহকেও। পিটিএসের সামনে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান শুভেন্দু। হুঁশিয়ারি দেন আদালতে যাওয়ার। একপ্রস্ত বিতণ্ডার পর পুলিশ শুভেন্দু, লকেটকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে চলে যায়।

Advertisement

বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ পিটিএসের সামনে আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারী এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা এবং সাংসদ। মহিলা পুলিশকর্মীরা কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। তিনি ওই এলাকায় কর্তব্যরত আইপিএস আধিকারিককে ডেকে পাঠানোর দাবি তোলেন। চলে আসেন দক্ষিণ কলকাতার ডেপুটি কমিশনার আকাশ মাঘারিয়া। তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর উত্তপ্ত বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়।

শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে সব লেডি পুলিশ আমার গায়েও হাত দিচ্ছে। এটা তাঁরা করতে পারেন না। আপনাদের বিরুদ্ধে আমি আদালতে যাব।’’ ডিসি সাউথ বলেন, ‘‘স্যর, আমাদের বাহিনীতে নারী-পুরুষ ভাগ হয় না।’’ শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাকে কেন আটকানো হচ্ছে? আমাকে যেতে দিন। বাইকে করে আমাকে আর এমপিকে (লকেট) হাওড়া স্টেশন পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। আমরা লোকাল ট্রেন ধরে হাওড়া থেকে সাঁতরাগাছি চলে যাব। অসভ্যতামোর সীমা আছে! এটাকে নর্থ কোরিয়া করে দিয়েছেন। করুন, অ্যারেস্ট করুন। আমি এখুনি হাই কোর্টে মুভ করব।’’ তার পরই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন শুভেন্দু ও লকেট।পুলিশ তাঁদের দু’জনকেই আলাদা আলাদা প্রিজন ভ্যানে তুলে দেয়। প্রিজন ভ্যান রওনা দেয় লালবাজারের দিকে।

অথচ শুভেন্দু অধিকারীর দায়িত্ব ছিল সাঁতরাগাছি থেকে মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার । তিনি তা করলেন না , এই দায়িত্ব পালন করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ । তাঁর নেতৃত্বে সাঁতরাগাছি চত্বরে পুলিশ বনাম বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি এবং বিক্ষোভ চূড়ান্ত আকার নেয় । সাঁতরাগাছি চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয় । সুকান্ত মজুমদারে হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন । এদিকে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিট চত্বর থেকে যে মিছিল নবান্নের দিকে যাত্রা করে সেই মিছিল না হলে নবান্ন অভিযান কার্যত ফ্লপ হয়ে যেত। কিন্ত দিলীপের মিছিল বিজেপিকে সেই লজ্জা থেকে অনেকটাই মুক্ত করেছে ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ