কলকাতা 

উৎসবের আবহে নারানদাস বাঙ্গুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলে শিক্ষক দিবস পালন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নায়ীমুল হকের প্রতিবেদন : অতিমারির প্রকোপে দু বছর ঠিক-ঠাক ‘শিক্ষক দিবস’ পালন না করতে পারার মৃদু একটা অভিমান তো ছিলোই, সেটাই যেন সুদে-আসলে পুষিয়ে নিল নারানদাস বাঙ্গুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। আর অতি অবশ্যই উৎসাহী ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন তাদের প্রিয় শিক্ষক শিক্ষিকারা। আর ছিলেন প্রাক্তন ছাত্রদের অনেকেই, যাঁরা আজ বিভিন্ন জায়গায় সমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত।


এদিন বিদ্যালয়ের পক্ষে শিক্ষক দিবসের মূল অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বিদ্যালয়েরই বিশিষ্ট প্রাক্তনী তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি বাণীব্রত বসু। প্রকৃত অর্থেই এদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিবস মঞ্চটি ছিল একেবারে চাঁদের হাট। কে ছিলেন না সেখানে! ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ-ও ছিল তুঙ্গে। ছাত্র-শিক্ষকের নিত্যদিনের সম্পর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে এদিন ছাত্ররা বনে গিয়েছিল শিক্ষক। আসলে ওরাই তো আগামী দিনের শিক্ষক তথা ভবিষ্যৎ।
সুন্দর এই সমীকরণের রেশ ধরে উত্তর ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার বলেন, আসলেই প্রকৃত শিক্ষক একজন ছাত্রের জীবনে পথ-প্রদর্শক। তিনি কখনও বন্ধু, আবার কখনও বা কড়া প্রশাসক। আবার একজন আদর্শ শিক্ষার্থী সে-ই, যে তার সম্পূর্ণ সত্তাকে শিক্ষকের নিকট সমর্পণ করতে দিধান্বিত হয় না।

Advertisement


এদিন সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে উপহারের ডালি তুলে দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। আবার তাদের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও ছিল অত্যন্ত অন্তরঙ্গ। এই আয়োজনে ‘গানে কথায় শরৎ ঋতু’ পরিবেশন করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।অনুষ্ঠানের তারিফ করেন রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভার বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি। তিনি বলেন রাজনীতি-সমাজনীতি যা কিছু শিখেছি, তা আমার পরম শ্রদ্ধেয় মাস্টারমশাইদের কাছ থেকেই পাওয়া।
এদিন বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আরেকটি অনন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, তা ছিল রক্তদান উৎসব। রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষক মহাশয়দের কাজই হলো সমাজকে প্রয়োজনে পথ দেখানো।শিক্ষক দিবসে রক্তদান উৎসবের এই ধারণার তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথিদের মধ্যে আরও যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিধান নগরের মহাকুমা শাসক বিশ্বজিৎ পান্ডা, স্থানীয় কাউন্সিলর বনশ্রী চ্যাটার্জি প্রমূখ।
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া যেভাবে বিশিষ্ট প্রাক্তনীদের সম্মিলন ঘটালেন এবং সমগ্র শিক্ষক দিবসের এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেন তা ছিল সত্যিই দেখার মতো। উপস্থিত সকলে একযোগে তা স্বীকার করলেন এবং তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করলেন। তাঁর সৃষ্টিশীল ভাবনা যে বিদ্যালয়েকে আগামী দিনে আরও বহুদূর অগ্রসর করতে সক্ষম হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত সকলেই। এ দিনের অনুষ্ঠানে সেই আস্থা প্রকাশ করলেন প্রত্যেকে এবং বিদ্যালয়ের জন্য বিশেষ অনুদানের কথাও জানালেন মন্ত্রী মহোদয়।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ