কলকাতা 

২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ৫৪ জন টেট পরীক্ষার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ৫৪ জন টেট পরীক্ষার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দিতে হবে আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গতকাল সোমবার তেইশ জন টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভুলে এদের পাঁচ বছর নষ্ট হয়েছে। অতএব অবিলম্বে এই ২৩ জনকে আগামী ২৮ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরো ৫৪ জনকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।ভবিষ্যতের জন্য শূন্যপদ থেকে ওই ৫৪ জনকে নিয়োগ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এ নিয়ে পুজোর আগে মোট ৭৭ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।

Advertisement

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন বনলতা সমাদ্দার-সহ ৫৪ জন। প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। ভুল প্রশ্নগুলিতে যেসব পরীক্ষার্থী উত্তর দিয়েছেন, তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ওই পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ে। কিন্তু তার পরও তাঁদের কেন নিয়োগ করা হল না, এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

বনলতাদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও সুদীপ্ত দাশগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘ওই বাড়তি নম্বর পেলে তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হবেন। ফলে তাঁদের চাকরি দিতে হবে। কারণ, সেই সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, এই নিয়োগে প্রশিক্ষিতদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। আর মামলাকারীরা সবাই প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী। তখন প্রশিক্ষিত নন, এমন অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে ওঁরাও চাকরি পাওয়ার যোগ্য।’’

এর আগে, সোমবার ২৩ জন টেট উত্তীর্ণকে ২৩ দিনের মধ্যে চাকরির নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, শূন্যপদ না থাকলে, প্রয়োজনে শূন্যপদ তৈরি করে মামলাকারী ২৩ জনকে চাকরি দিতে হবে। এমনকি, তাঁরা চাকরি পেয়েছেন কি না, পরবর্তী শুনানির দিন আদালতকে তা জানাতে হবে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ভুল হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের কাছে শূন্যপদের তালিকা নেই। তাই এখনও তাঁদের নিয়োগ করা যায়নি। রাজ্য শূন্যপদ জানালে নিয়োগ করা হবে তাঁদের। এই যুক্তি সোমবারের মামলায় গ্রহণ করেনি আদালত।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ