কলকাতা 

পার্থ অর্পিতার গ্রেফতারির পর দলের সমালোচনার জেরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া হলো প্রাক্তন আমলা ও তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারকে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রকাশ্যে আসার পর এবং পার্থ অর্পিতা গ্রেফতারি পর থেকে একের পর এক বিরূপ মন্তব্য করে চলেছিলেন প্রাক্তন আইএএস এবং বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। সাংবাদিকদের একটা মহল মনে করছিল জহর জহর সরকারকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস নতুন তৃণমূল গড়ার কাজ করছে। কিন্তু তার হলো না তিনি বলেছিলেন দলের একটা অংশ পচে গেছে কিংবা টিভিতে এত টাকা উদ্ধার দেখে গা শির শির করছিল এসব কথা তৃণমূলের নেতৃত্বের ভালো লাগেনি।

সেটা আমরা প্রথম দিনেই লক্ষ্য করেছিলাম সৌগত রায়ের মতো একজন বিচক্ষণ সাংসদ সরাসরি জহর সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেখেছিলেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের যে whatsapp গ্রুপ ছিল তা থেকে সাংসদ জহর সরকারকে বাদ দেয়া হয়েছে। এই গ্রুপের এডমিন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। মোট সদস্য ১৩ জন সাংসদ। তাদের মধ্যে ছিলেন জহর সরকারও।সূত্রের খবর তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি সংবাদমাধ‌্যমের সামনে প্রসারভারতীর প্রাক্তন সিইও এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sarkar)। বলেছিলেন, ‘‘যখন টিভিতে দেখলাম বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরোতে পারে! কল্পনার অতীত। এমন দুর্নীতির সিন টিভিতে কম দেখা যায়। কেমন যেমন গা শিরশির করছে।’’ পাশাপাশি ‘দলের একটা দিক পচে গিয়েছে’ এবং ‘এমন দল নিয়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করা যাবে না’ বলেও মন্তব‌্য করেন। সূত্রের খবর, তৃণমূলের (TMC) তরফে নাকি তাঁর কাছে বার্তাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি সসম্মানে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। কিন্তু তাতেও রাজি হননি জহর। সেকারণেই এই পদক্ষেপ।

তৃণমূল সূত্রের দাবি, আইএএস (IAS) হিসাবে কর্মজীবন শেষ করার পর মোদি সরকারের বেশ কিছু প্রকল্পের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছিল জহর সরকারকে। তীব্র ভাষায় মোদি সরকারকে আক্রমণও করতেন তিনি। সেটা দেখেই তাঁকে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন খোদ দলনেত্রী। কিন্তু প্রকাশ্যে দলের সমালোচনা করে তিনি নেত্রীর বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন বলেই মনে করছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের বক্তব্য তাঁর কিছু বলার থাকলে দলের অন্দরেই বলতে পারতেন। তথ্যসূত্র ডিজিটাল সংবাদ প্রতিদিন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ