কলকাতা 

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ‘গোপন চিঠি’ ফাঁস করার দাবি রাজ্যপালের কাছে জানালেন শাসক জোট

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন খনি মামলায় আদৌ দোষী কিনা তা এখনো স্পষ্ট হয়নি। অথচ বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে হেমন্ত সরেনের বিধায়ক পথ খারিজ করার নির্দেশ নাকি নির্বাচন কমিশন দিয়েছেন। সম্প্রতি খনি দুর্নীতি মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন জড়িত আছে এই অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ  হয়েছিল বিজেপি। এই অভিযোগ পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন দুই পক্ষকে নিয়ে শুনানি করে শুনানি করার পর কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয় তাদের গোপন রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে শুনানি শেষ হওয়ার পরেই বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় নির্বাচন কমিশন নাকি হেমন্ত সরেনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশপত্র নাকি রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে গোপন চিঠি নির্বাচন কমিশন পাঠিয়েছেন তা প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের কাছে দরবার করলেন শরীক দলের নেতারা।

Advertisement

রাজ্যপাল রমেশ ব্যাস এখনও তা প্রকাশ্যে আনেননি। তা সত্ত্বেও ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতৃত্ব কী ভাবে ‘চিঠির বিষয়বস্তু’ নিয়ে প্রকাশ্যে মত প্রকাশ করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শাসক মহাজোটের নেতা ও বিধায়কের। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঁচীর রাজভবনে গিয়ে এ বিষয়ে রাজ্যপালের জবাব চান তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে হেমন্ত শিবিরের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের গোপন চিঠি পাঠানোর বিষয়ে বিজেপি নেতারা যে ভাবে প্রকাশ্যে জানাচ্ছেন, তা থেকে স্পষ্ট, কী ভাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের ইচ্ছে মতো নিয়ন্ত্রণ করছে পদ্ম-শিবির।

ঘটনাচক্রে, খনি লিজ দেওয়া মামলায় নিজের পদের অপব্যবহার করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপিই। সূত্রের মতে, বিষয়টিতে সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আজ নিজেদের সুপারিশ ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের কাছে মুখবন্ধ খামে গত বৃহস্পতিবার পাঠিয়ে দেয় কমিশন। ওই খামটি যে রাজ্যপালকে পাঠানো হয়েছে, তা প্রথম টুইট করে জানান ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।

গত ২৫ মে বিজেপি দাবি করে, কমিশন ওই চিঠিতে সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করার সুপারিশ করেছে। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস নেতা বান্ধু তিরকে বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন যে চিঠি পাঠিয়েছে, তা বিজেপি নেতারা জানতে পারলেন কী ভাবে? ওই চিঠিতে কী সুপারিশ রয়েছে, সে বিষয়টিও তাঁরা আগাম কী করে প্রকাশ্যে বলছেন?’’ ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা আলমগির আলম বলেন, ‘‘আমি কোনও চিঠি বা তার বিষয়বস্তুর কথা জানি না। কিন্তু বিজেপি নেতাদের মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কী ভাবে পিছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে বিজেপি।’’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ