বিহারের সরকার পরিবর্তনের নেপথ্য নায়ক আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এখন সিবিআইয়ের নিশানায়, এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল বিজেপির পক্ষে সুখকর হবে না!
বাংলার জনরব ডেস্ক: বিহারের সরকার পরিবর্তনের অন্যতম কান্ডারী আর জেডি নেতা তেজস্বী যাদব এর বিরুদ্ধে নতুন করে সিবিআই কোমর বেঁধে নেমেছে বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে ইউপিএ আমলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে লালুপ্রসাদ যাদব নাকি চাকরি দেওয়ার নামে দুর্নীতি করেছিলেন সেই দুর্নীতির সঙ্গে তেজস্বী যাদবের নাম যুক্ত হয়েছে। সূত্রের খবর চাকরি দেওয়ার নাম করে বিহারের কিছু মানুষের কাছ থেকে চাকরির বদলে জমি নিয়েছিলেন লালু পুত্র তেজস্বী যাদব।তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় প্রমাণও চলে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে। যার ভিত্তিতে তেজস্বীকে নাকি গ্রেপ্তারও করা হতে পারে।
সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, ইউপিএ আমলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ছিলেন তেজস্বীর বাবা লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। একাধিক পদে অর্থ বা জমির বিনিময়ে নিয়োগ করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই ইতিমধ্যেই দফায় দফায় লালুর পরিবারের বহু ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরজেডির অন্যান্য নেতাদের সম্পত্তিতেও তল্লাশি চলেছে। বিহারে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এই মামলার তদন্তের গতি যেন বাড়তে শুরু করছে।
বিহারের নতুন সরকার যেদিন বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করল, সেদিনও সিবিআই বিহার, দিল্লি, এবং হরিয়ানার বিভিন্ন প্রান্তের ২৫টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। বিহারের পাটনা, কাটিহার এবং মধুবনীতে একাধিক হাই প্রোফাইল আরজেডি নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
সিবিআই সূত্রের দাবি, সেই তল্লাশিতে বিস্ফোরক সব তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হাতে এসেছে একটি হার্ড-ডিস্ক। যাতে মোট ১ হাজার ৪৫৮ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পাওয়া গিয়েছে। যারা কিনা চাকরি পাওয়ার জন্য জমি দিতে রাজি ছিলেন। সিবিআইয়ের ধারণা, এই তালিকাটি তৈরি করেছেন খোদ তেজস্বী যাদব।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই যে ১ হাজার ৪৫৮ জনের তালিকা তেজস্বী (Tejaswi Yadav) বানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ১৬ জন সম্পর্কে ইতিমধ্যেই তাঁরা খোঁজখবর করা হয়েছে। এবং প্রমাণও মিলেছে এরা অবৈধভাবে লালুর ঘনিষ্ঠদের জমি পাইয়ে দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন।
তবে সিবিআই যাই দাবি করুক না কেন আসলে এই মামলা ঠুনকো ছাড়া আর কিছুই নয়। সময়ের বিচারে ইউপিএ সরকার আট বছর ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে তারপর গঙ্গা-যমুনা দিয়ে অনেক জল প্রবাহিত হয়েছে। মোদি সরকার একছত্রভাবে আট বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে এই সময়কালের মধ্যে তেজস্বী যাদব কিংবা আরজেডির অন্য কোন নেতার বিরুদ্ধে এই দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি মোদী সরকার। আজ বিহারের সরকার পরিবর্তনের নেপথ্যে লালুপুত্রের যে অবদান রয়েছে সেই অবদানকে খাটো করার জন্য মোদির পরিচালিত সিবিআই নেমেছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আর এর পরিণতি আগামী দিনে বিজেপির পক্ষে সুখকর হবে না সেটা এখন থেকেই বলে দেওয়া যায়।