দেশ 

হেমন্তের উত্তরসূরি কে ? ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের সব বিধায়করা ছত্রিশগড়ে আশ্রয় নিয়েছেন, নেপথ্যে রহস্য কী?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মত যেকোনো সময় ঝাড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের বিধায়ক পথ খারিজ হয়ে যেতে পারে। তাই দল এবং সরকার বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন সহ জোট শরীর দলকে নিয়ে ছত্রিশগড়ে পাড়ি দিয়েছেন ।

যদিও অভিযোগ উঠেছে হেমন্ত সরেনের সরকারকে ভেঙে দেয়ার জন্য বিজেপি তৎপর হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি সরকারের ক্ষমতায় থাকায় এজেন্সি গুলোকে কাজে লাগিয়ে সরকার ভাঙ্গার কাজ করে চলেছে এর আগে মহারাষ্ট্রে করেছে এরপর ঝাড়খণ্ডে ও করবে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

Advertisement

তবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন খনি দুর্নীতি মামলায় যেভাবে জড়িয়ে পড়েছেন সেক্ষেত্রে তার পদত্যাগ করা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। তবে হেমন্ত সরণের উত্তরাধিকারী কে হবে তা নিয়ে এখন থেকে চর্চা শুরু হয়েছে ঝাড়খন্ডে। সূত্রের খবর হেমন্ত সরেনের স্ত্রী পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। অন্য একটি সূত্রে খবর হেমন্ত সরেন আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ফের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য শপথ নিতে পারেন। এরপর ছ মাসের মধ্যে কোন বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত হয়ে এলে আর কোন বাধা থাকবে না।

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালের মধ্যেই ঝাড়খণ্ডের বিধায়করা হোটেলে পৌঁছে যাবেন। ইতিমধ্যেই ওই হোটেলটির সমস্ত ঘর খালি করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনও রুমই বুকিংয়ের জন্য নেওয়া হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে হেমন্তকে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভাকেও পদত্যাগ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে গেলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফের নির্বাচনে জিতে আসতে হবে। তবে তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে জানিয়ে দিতে হবে, হেমন্তই দলের নেতা।

নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ জানার পরে টুইট করেন হেমন্ত সোরেন। লেখেন, ‘আমি ক্ষমতালোভী নই। তবে সাংবিধানিক পদগুলি ব্যবহার করে মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করতে চাই।’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজনৈতিক ভাবে প্রতিপক্ষরা পেরে উঠছে না বলেই এইভাবে হেনস্তা করছে।’

গত সোমবার নির্বাচন কমিশন তাদের শুনানি শেষ করে। মঙ্গলবার রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসের কাছে তাঁর মতামত চাওয়া হয়। সূত্রানুসারে, পরের দিন রাজ্যপাল পরদিন ওই রিপোর্টটি পান। নিশিকান্ত দুবে টুইট করে জানিয়ে দেন, রাজ ভবনে পৌঁছে গিয়েছে কমিশনের রিপোর্ট। এদিকে এর আগে সোরেনের দল জেএমএম অভিযোগ করেছিল তাঁদের ১২ জন বিধায়ককে ভাঙাতে চাইছে বিজেপি। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যত সময় যাচ্ছে, ততই ঝাড়খণ্ডের ‘রাজনৈতিক নাটক’ উঠছে।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ