কলকাতা 

গভীর সঙ্কটে শ্রমিক-কর্মচারী সহ শ্রমজীবী মানুষ, চাই তীব্র লড়াই-আন্দোলন বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় বললেন বক্তারা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

স্টাফ রিপোর্টার: ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ, ইতিহাস খ্যাত নৌবিদ্রোহ, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রমিক-কর্মচারী ও শ্রমজীবী মানুষ ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামকে সংগঠিত করেছে।অথচ স্বাধীনতার সেই শ্রমজীবি মানুষ ও শ্রমিক কর্মচারীরা গভীর সঙ্কটে।

আর এই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা কৃষকদের মতোই শ্রমিকদের বা শ্রমিক কর্মচারীদের রাস্তায় নেমে তীব্র লড়াই-আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে।শুক্রবার বি এস এন এলের ক্যালকাটা টেলিফোন সার্কেল আয়োজিত ” ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামে শ্রমিক শ্রেণীর ভূমিকা এবং বর্তমান পরিস্হিতি শীর্ষক এক আলোচনাসভায় একথাই বললেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বামপন্হীরা কংগ্রেসের অভ্যন্তরে থেকে শ্রমিক-কৃষকদের আন্দোলনকে সংগঠিত করে ।সাওতাল বিদ্রোহ, কৃষক বিদ্রোহ , ডাণ্ডি অভিযান, ভারত ছাড়ো আন্দোলন, আগস্ট বিপ্লব প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এদিন বক্তারা বলেন , আজকে যেমন বিজেপি -আর এস এস ধর্মের নামে আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র করে বানচাল করে দিচ্ছে ১৯৪৬ সালে সুচতুর ব্রিটিশ সরকার কলকাতায় ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা লাগিয়েছিল।সেদিন কিন্তু কলকাতার ট্রাম শ্রমিকরাই দাঙ্গা থামিয়েছিলেন।একথা যেন মনে থাকে।কংগ্রেস আমাদের দেশে যোজনা কমিশন গঠন করেছিল।কোন খাতে কী বরাদ্দ করা হবে তার জন্য।দু: খের বিষয় আর এস এস-কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত বিজেপি সরকার সেই যোজনা কমিশন তুলে দিয়েছে।সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্হাগুলি বেসরকারী হাতে তুলে দিয়েছে।সরকারি সম্পত্তিগুলি আজ বেসরকারী সংস্থাকে বিক্রি করে দিচ্ছে।শ্রমিকরা যাতে ইউনিয়ন না করতে পারে তার জন্য শ্রম সংস্কার আইন চালু করেছে।

শ্রম কোড চালুর অর্থই হল কেবল শ্রমিক ছাঁটাই।আউট সোর্সিং বা ঠিকা প্রথা চালু সেই পথকে প্রশস্ত করেছে।আমাদের দেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের লড়াই করেছেন।রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে।তাই সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আবার নতুন করে লড়াই-আন্দোলন করতে হবে।

এদিনের আলোচনা সভা হয় ক্যালকাটা টেলিফোন ভবনের লেডিজ ক্লাবে।আলোচনা সভার প্রধান বক্তা ছিলেন অধ্যাপক সুস্নাত দাশ।সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শিশির কুমার রায়।বক্তব্য্য বলেন সংগঠনের সম্পাদক শঙ্কর কিশোর পাল।

এদিন সেমিনার থেকে যে দাবি তোলা হয় সেগুলো‌ হল, অবিলম্বে শ্রম সংস্কার আইন বাতিল করতে হবে,আউট সোর্সিং বা ঠিকা প্রথা বাতিল করতে হবে,সর্বনাশা শ্রম কোড বাতিল করতে করতে হবে, দেশ ব্যাপী ধর্মীয় বিভাজন বন্ধ করতে হবে, বেসরকারীকরণ বন্ধ করতে হবে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ