কলকাতা 

Partha Chatterjee: ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’ বললেন পার্থ, কার ষড়যন্ত্রের শিকার? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এসএসসি মামলায় গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হওয়ার ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ সাংবাদিকদের সামনে বললেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে হুইল চেয়ারে ওঠার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কার্যত মুখের মাস্ক সরিয়ে স্পষ্ট বললেন আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে ষড়যন্ত্র কারা করেছে নিজের দলের লোকেরা করেছে নাকি বিজেপি থেকে করা হয়েছে, তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বাইরে আসার পরেই সবার আগে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র এবং সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। তিনি বলেছেন,‘‘ষড়যন্ত্র হলে পাঁচ দিন পরে বলছেন কেন! ষড়যন্ত্র হলে তিনি আদালতে গিয়ে তা প্রমাণ করুন না হয়!’’

এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৩ জুলাই পার্থকে তাঁর নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হয়ে ভুবনেশ্বর এমসেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থকে। এই ক’দিনে তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। তবে এটা বলেছিলেন যে, গ্রেফতার হওয়ার আগে পরে তিনি একাধিক বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন। তিনি কোনও জবাব পাননি। ইডির দাবি অনুযায়ী, পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ (ইডির দাবি) অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এক একটি ফ্ল্যাট থেকে যখন কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে, তখনও পার্থ কার্যত নিরুত্তরই ছিলেন। তবে তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছিলেন, ‘‘কী কারণে?’’ যা থেকে মনে করা হচ্ছিল যে, পার্থ মন্ত্রিত্ব ছাড়তে চাইছেন না।

Advertisement

তবে তাঁর ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি বৃহস্পতিবার সকালেই সিদ্ধান্ত নেনে পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর। সেই মতো রাজ্যপালকে বিষয়টি জানানো হয়। তার পর নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেন, ‘‘পার্থ’দাকে আমি রিলিভ করে দিয়েছি। তাঁর দফতরগুলি আপাতত আমার হাতেই থাকবে। আমরা কঠোর দল!’’

শুধু মন্ত্রিসভা থেকে ছড়িয়ে দেওয়া নয় একইসঙ্গে শাসক দলের মহাসচিবের পর থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকের পর ঘোষণা করেন, তদন্ত চলাকালীন পার্থ সাসপেন্ড থাকবে। অর্থাৎ, যতদিন না এই তদন্ত শেষ হবে, ততদিন পার্থ সাসপেন্ড থাকবেন। দলের মহাসচিব-সহ পাঁচটি পদ থেকেও তাঁকে সরানো হয়। সরানো হয় দলের মুখপত্রের সম্পাদকের পদ থেকেও। অভিষেক সরাসরিই বলেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। যে সমস্ত ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, (টাকা, গয়না উদ্ধারের) তা অস্বস্তিকর। সাধারণ মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করছেন। আমরা সাধারণ মানুষকেই বেনিফিট অব ডাউট দিচ্ছি।’’

গতকাল মন্ত্রিসভা এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই আজ শুক্রবার যেভাবে তিনি মাস্ক সরিয়ে সাংবাদিকদের বললেন আমি ষড়যন্ত্রের শিকার তাতে স্পষ্ট হয়েছে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই নিশানা করেছেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে সে নিয়ে এখনও মুখ খুলেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে মুখ খুলেন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের জনতা।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ