কলকাতা 

ED Raids in West Bengal SSC Scam: আগাম প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনামাফিক পার্থ – পরেশ – শান্তিপ্রসাদ – মানিক – কল্যাণ – রত্নার বাড়ি সহ রাজ্যের ১৩ জায়গায় তল্লাশি ইডির

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র আধিকারিকরা। রীতিমত পরিকল্পনা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে একসঙ্গে  সকাল ৮টা নাগাদ ইডির তদন্তকারীরা রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি-সহ মোট ১৩টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। রাজ্য জুড়ে ১৩টি জায়গায় একসঙ্গে ম্যারাথন তল্লাশিতে নেমেছেন ইডির ৮০ থেকে ৯০ জন তদন্তকারী।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ইডির এই তৎপরতা নিয়ে বলেছেন, ‘‘ইডির তৎপরতা আগে কখনও দেখিনি। রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্থা করা বিজেপির হাতিয়ার। বাংলায় বিজেপির কিছু নেই। বাংলার বিজেপির শক্তি ইডি। গতকাল আমরা কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছি। লড়াই শুরু হয়েছে। তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, ইডি-হানা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘আরও আগেই এই তল্লাশি হওয়া উচিত ছিল। হয়তো ইডির লোকবল ছিল না বলে আগে করতে পারেনি।’’

শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ ইডির আধিকারিকরা পৌঁছে যান রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে। তার পর একে একে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়ি, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিংহ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য, পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও ইডি-র তল্লাশি অভিযানের খবর আসতে থাকে।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি’ মামলায় ইডি এর আগে তদন্ত শুরু করেনি তা নয়। জুনের শেষ দিকে এক বার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ৬০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। এই শিক্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নিয়োগ হলেও তাঁদের নামে কোনও ওএমআর শিট পাওয়া যায়নি। তবে এই প্রথম রাজ্য জুড়ে এ ভাবে একসঙ্গে রাজ্যে ১৩ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালালেন ইডি আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, ‘এসএসসি দুর্নীতি’ মামলায় মূলত ফৌজদারি বিষয়গুলির তদন্ত করছে সিবিআই। অর্থাৎ কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তা খুঁজে বার করবে তারা। ইডির তদন্তে উঠে আসতে পারে, ঠিক কত টাকার লেনদেন হয়েছে এই মামলায়। ওই বিপুল অর্থ কোথা থেকে এল? কার কার কাছে সেই অর্থ পৌঁছল? ঘটনায় প্রভাবশালী যোগের বিষয়গুলিও উঠে আসতে পারে ইডির তদন্তে।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ