Maharashtra Crisis: ‘এখন উপমুখ্যমন্ত্রী হতে বাধল না, ২০১৯-এ হলেন না কেন?’ ফডণবীসকে তীব্র আক্রমণ শিবসেনার
বাংলার জনরব ডেস্ক : রাজ্যের টানা পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । তাঁর নেতৃত্বে ২০১৯ সালে বিজেপি এবং শিবসেনা জোট ক্ষমতায় এসেছিল । কিন্ত শিবসেনার সঙ্গে শর্ত অনুসারে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি হননি দেবেন্দ্র ফরণবীস । ফল স্বরুপ, শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে কংগ্রেস এবং এনসিপির সমর্থন নিয়ে জোট সরকার গঠন করে । আর এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব ঠাকরে । যদি ২০১৯ এ মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি দেবেন্দ্র ফরণবীস ছেড়ে দিতেন তাহলে শিবসেনা-বিজেপি জোট অটুট থাকতো । কিন্ত সেই জোট ভেঙে যাওয়ার জন্য বিজেপির একরোখা নীতিই দায়ী ছিল । তারপর থেকে নানাভাবে উদ্ধব সরকারকে ভাঙার চেষ্টা হয়েছে কিন্ত তা সম্ভব হয়নি ।
সবশেষে শিবসেনার বিধায়কদের ভাঙিয়ে বাল ঠাকরে স্বপ্নকে সফল করতে নেমেছেন অমিত শাহ । শিবসেনার বিধা্য়কদের বিদ্রোহের ফলে কুর্সি হারাতে হয়েছে উদ্ধবকে । কিন্ত মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন দেবেন্দ্র ফরণবীস । আর এখানেই তীব্র সমালোচনা করেছে শিবসেনার মুখপত্র সামনা ।সামনায় কটাক্ষ মেশানো প্রশ্ন করা হয়েছে, সেই যখন উপ-মুখ্যমন্ত্রীই হলেন, তা হলে ২০১৯-এ কেন হলেন না?
সামনায় এর পরের নিশানা একনাথ শিন্ডে। তবে এক বারও তাঁর নাম করা হয়নি। লেখা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে যা যা হল, তাতে একটা জিনিস প্রমাণিত, তা হল, সবার উপরে ক্ষমতা সত্য, আর বাকি সব মিথ্যা। যাঁরা বলছেন, শিবসেনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি, তাঁরাই সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুকুট পরে নাচানাচি করছেন। তা-ও আবার এমন দলের সমর্থন নিয়ে যাঁরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাবি করে এল, বিধায়কদের বিদ্রোহী হয়ে ওঠার সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই!’ মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক টালমাটাল সময়ে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রকাশ্য অসন্তোষ রয়েছে সামনার সম্পাদকীয় স্তম্ভে। আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি সুপ্রিম কোর্টও।