Nirmal Maji : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আসলে “মা সারদা” বললেন বিধায়ক নির্মল মাজি, কেন জানেন? জানতে হলে ক্লিক করুন
বাংলার জনরব ডেস্ক: আত্মম্ভরিতা এবং অহংকার তাকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু থেকে দূরে সরিয়েছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কতটা সম্মান প্রদর্শন করেন বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ নীতি কে কতখানি মান্যতা দেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে তবে মঞ্চের ভাষণে বরাবরই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তুষ্ট করে থাকেন। আর এই মমতার প্রতি বাহ্যিক আনুগত্যের কারণে সমালোচকরা নানা কথা বললেও বিধায়ক পদ থেকে শুরু করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে তিনি আসীন ছিলেন।
কিন্তু কালির চাকার মতই তার পরিবর্তন ঘটেছে মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ্ তিনি খুইয়েছেন। এক কথায় তাঁর ঔদ্ধত্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নিতে পারেননি। তাই পথ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অগাধ আনুগত্য যে এখনো বিদ্যমান রয়েছে হাওড়া উত্তরের এই বিধায়কের তা তিনি প্রমাণ করে ছাড়লেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সে ব্যক্তি নন একেবারে মা সারদা।
মা সারদার নাকি বিবেকানন্দ কে বলেছিলেন যদি কোনদিন আবার জন্ম নিতে পারি তাহলে মনুষ্য জন্ম হিসাবেই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব যাতে মনুষ্য জন্ম আমাকে দেয় তখন আমি রাজনীতি ও করব। মা সারদার এই অমগ উক্তি কে কাজে লাগিয়ে হাওড়ার উত্তরের বিধায়ক নির্মল বাজি বলেই ফেললেন তিথি নক্ষত্র সংখ্যাতত্ত্ব গণনা করে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে মমতাদি হচ্ছেন মা সারদা। আজ সোমবার তিনি এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা সারদা হয়ে ওঠার কাহিনী বর্ণনা করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনে তাঁর বিশ্বস্ত সৈনিকদের অন্যতম হলেন এই নির্মল মাজি (Nirmal Maji)। তবে গত মাসেই একাধিক অভিযোগের জেরে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়। তবে দল তথা দলনেত্রীর প্রতি তাঁর কর্তব্য, নিষ্ঠা এতটুকু যে ক্ষুণ্ণ হয়নি, তা তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ‘দিদি’ অন্তপ্রাণ নির্মল মাজি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য প্রাণ দিতেও তৈরি থাকেন। সেই ধারণাই যেন আরও একবার প্রকট হয়ে উঠল।
আজ এক অনুষ্ঠানে নির্মল মাজি দাবি করেন, ‘দিদিই মা সারদা!’ এ নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, “মৃত্যুর দিনকয়েক আগে বিবেকানন্দর কয়েকজন সতীর্থ মহারাজকে মা সারদা বলেছিলেন, পরবর্তীতে কালীঘাট মন্দির এলাকায় মনুষ্যরূপে জন্ম নেব। সেই জন্মের পর ত্যাগ, তিতিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হব। রাজনৈতিক কাজ কর্মও করব।”
এরপরই তিনি মমতাকে মা সারদা বলার পক্ষে যুক্তি করে যোগ করেন, “সময়, সংখ্যাতত্ত্ব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) মা সারদা। কারণ দুর্গাপুজোর অষ্টমী-নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে তাঁর জন্ম। দিদি মা সারদা, দিদিই সিস্টার নিবেদিতা, দিদিই ঘরের দুর্গা।”
অবশ্য এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট গায়ক কবীর সুমন। তিনি বলেছিলেন 300 বছর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বাংলায় মন্দির হবে এবং তিনি পূজিত হবেন। বিধায়ক মদন মিত্র এবং মানুষ ভূঁইয়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এরা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনুষ্য রূপী দেবী দুর্গা।