কলকাতা 

Death Chaos: অর্জুন তৃণমূলের লোক দাবি অতীনের, বিজেপি কর্মী ও তৃণমূল কর্মীদের পারস্পরিক লড়াইয়ে রণক্ষেত্র কাশিপুর, ৫ ঘন্টার চেষ্টায় অর্জুনের মৃতদেহ নিয়ে আসা হল আরজি করে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কাশীপুরে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাশিয়ার। বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার এর পর থেকে এলাকা জুড়ে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কাশিপুর বেলগাছিয়ার বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি দাবি করেন অর্জুন আসলে তৃণমূলের লোক গত পুরসভা নির্বাচনের সময় সে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিল। অতীন ঘোষ এ কথা বলার পর বিজেপি এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। একইসঙ্গে শ্লোগান উঠতে থাকে অতীন ঘোষ গো ব্যাক বলে।

এরই মাঝে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ডিসি সেন্ট্রাল এবং ডিসি নর্থের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী কার্যত ব্যারিকেড করে দাঁড়িয়ে যায় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মাঝখানে। এদিকে বিজেপির উত্তর কলকাতার সভাপতি কল্যান চৌবে মৃতের বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে যান। এরপর পুলিশকে কঠোর হাতে বিষয়টিকে দমন করতে হয় এমনকি লাঠি চালাতেও দেখা যায়। এরপর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েন চলার পর অর্জুনের মৃতদেহ আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

Advertisement

বিজেপির দাবি, অমিত শাহ না আসা পর্যন্ত অর্জুনের মৃতদেহ ছুঁতে দেওয়া হবে না পুলিশকে। পাল্টা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে তৃণমূল। এতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। যে ঘরে অর্জুনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়, কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে সেই ঘরের দরজা আগলে দাঁড়িয়ে পড়েন কল্যাণ।

পুলিশ দু’পক্ষকে দু’দিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে লাঠিচার্জ করতেও দেখা যায় পুলিশকে। উত্তেজিত দু’পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার পর অকুস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে কেটে গিয়েছে ৫ ঘণ্টা।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ