কলকাতা 

Aliah University : আলিয়ার উপাচার্যকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে শুধু মমতার ভাবমূর্তিতে নয়, বাংলার শিক্ষা-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বুলবুল চৌধুরি : লজ্জা ! বললেও কম বলা হয় । যেভাবে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের চেম্বারে ঢুকে হুমকি গালাগালি দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি তো বিনষ্ট হয়েছে, সমগ্র দেশের সামনে বাংলার শিক্ষা-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আক্রান্ত হয়েছে । এরপরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো দেওয়া হয়নি । সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে, ভিসি নাকি পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন, পুলিশ সাহায্য তো করেই নি, অন্তত সম্মান জানিয়ে একবারও আসতে তো পারতেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। বামফ্রন্ট রাজত্ব আমরা দেখেছি , পুলিশ কাজকর্মও আমরা দেখেছি সে আমলে । কিন্ত কোনো শিক্ষাবিদ পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ কথা শোনোনি এ ঘটনা আমার জানা নেই । ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মোহাম্মদ আলি বসে আছেন তাঁকে ঘিরে ধরে চার/পাঁচ জন অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করছে ।

এরা বর্তমানে কেউ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নন, তাহলে কে তাদের তান্ডব চালানোর অধিকার দিল ? কাদের নির্দেশে ভিসি পুলিশের সাহায্য চাইলেও পুলিশ আসেননি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর উত্তর দিতে হবে না । কারণ বাংলার ঐতিহ্য শিক্ষা সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করার অধিকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেই । সহজ এবং সরল ভাবে বললে তৃণমূলের নেতাদের মদত ছাড়া গুটিকয় দুস্কৃতিদের দ্বারা একাজ করা সম্ভব নয় ।

Advertisement

দেশের সামনে তো বটেই বিশ্বের কাছে বাংলার ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করেছে তৃণমূল মদতপুষ্ট ওই মেকি ছাত্ররা । সংবাদপত্রের খবর অনুসারে ভিডিওতে তাণ্ডব চালাতে দেখা গেছে একদল যুবককে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলির কক্ষে ঢুকে তাঁকে হেনস্থায় অভিযুক্ত টিএমসিপির সাবেক ইউনিট প্রেসিডেন্ট গিয়াসুদ্দিন মন্ডল।

ভিডিওতে দেখা যায়, উপাচার্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন তিনি। এ সময় তাঁকে কান ধরে উঠবস করতে হুমকি দিচ্ছেন। মারধর করা হবে বলেও উপাচার্যকে শাসানো হয়।গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাতেই উপাচার্যের উপর চটেছেন বহিষ্কৃত ওই ছাত্র নেতা। এ বিষয়ে উপাচার্য জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সাহায্য চেয়ে পুলিশকে ফোন দিলেও সাড়া মেলেনি।

এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সমালোচনার মুখে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । অন্যদিকে,তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা দাবি করেছেন, ওরা কেউ আমাদের সংগঠনের কর্মী বা নেতা নন । তাহলে প্রশ্ন উঠেছে শাসক দলের সমর্থন যদি না থাকে তাহলে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কেন এখনও গ্রেফতার হলো না ? এথেকে স্পষ্ট শাসক দলের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ