কলকাতা 

রামপুরহাট-কাণ্ডে হাইকোর্টে কেস ডায়রি জমা দিল সরকার

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে রামপুরহাট-কাণ্ডের শুনানি হয় । আদালতে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিসিটিভি ক্যামরা এখনও ইনস্টল করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন এবং এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যাতে তদন্তে ক্ষতি হতে পারে।’’

আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। তাতে নজরদারি করবে হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সিট এবং পুলিশ প্রভাবিত হতে পারে। তাই সিবিআইকে দেওয়া হোক এই তদন্তের ভার। ইতিমধ্যে ডিজি তদন্ত না করেই বলে দিয়েছেন ওই ঘটনা রাজনৈতিক নয়।’’

Advertisement

শামিম আহমেদ বলেন, ‘‘‘কয়লা পাচার মামলায় জ্ঞানবন্ত সিংহকে নোটিস দিয়েছিল ইডি। তিনিও ওই পাচারে যুক্ত। আর তাঁকেই কী ভাবে সিটে রাখা হল? তথ্য প্রমাণ লোপাট করতেই কি পদক্ষেপ?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘‘বুধবারই বলেছিলাম, কেয়াম শেখ অন্যতম সাক্ষী। এই নাবালিকা ঘটনার অনেক কিছু প্রত্যক্ষ করেছে। পুলিশ এখনও কোনও বয়ান রেকর্ড করেনি। এখন সে কোথায় রয়েছে তা-ও জানা নেই।’’

আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন অসুবিধা নেই। কিন্তু তিনি কী ভাবে ডিজিকে বলতে পারেন কী কী করতে হবে?’’

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে কেস ডায়রি জমা দেন। তিনি বলেন, ‘‘বুধবার রাজ্যকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কথা বলা হয়েছিল। সন্ধ্যায় সেই নির্দেশের কপি হাই কোর্টের ওয়েবসাইটে আসে। তার পর তা জেলায় পাঠানো হয়। জেলা থেকে যোগাযোগ করা হয় পূর্ব বর্ধমানের জেলা বিচারককে। এখন সেখানে ৩১টি সিসিটিভি ক্যামরা লাগানো হয়েছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘সব রাজনৈতিক দলের সব নেতাকে গ্রামে যেতে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী গেলেই অসুবিধা? বিজেপি প্রতিনিধি দল গেল। সিপিএমের সেলিম গেলেন।’’

আদালতের কার্যসময় শেষ হলেও শুনানি চলবে বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি।

 

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ