কলকাতা 

শুধু তথ্য নয়, মানচিত্র ও সময়-সারণি সহ ইতিহাস বুঝলে, তা মনে থাকবে গল্পের মতো, সর্বোচ্চ নম্বর তুলতেও সাহায্য করবে, মাধ্যমিক পড়ুয়াদের এমন করেই ইতিহাস-পাঠ আকর্ষনীয় করে তোলার কথা বললেন অধ্যাপক জীবন মুখোপাধ্যায়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নাফিসা ইসমাতের প্রতিবেদন : আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি কীভাবে হবে, তা আরও সহজ করে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তুলে ধরার তাগিদে অনুসন্ধান কলকাতা আট দিনব্যাপী এক অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত আট ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। গতকাল শুক্রবার ছিল এর চতুর্থ দিন। এদিন কর্মশালার বিষয় ছিল ইতিহাস।

এদিন কর্মশালার শুভ সূচনা করেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও গ্রন্থকার অধ্যাপক জীবন মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা মুখিয়ে ছিল তাঁর জন্য, যাঁর ইতিহাস বই পড়ে বেড়ে ওঠা, তাঁকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরাসরি দেখা এবং তাঁর উপদেশ গ্রহণ করার জন্য।

Advertisement

এ দিন কর্মশালার সূচনা লগ্নে অধ্যাপক জীবন মুখোপাধ্যায় বলেন, ইতিহাস আসলে কোনো কঠিন বিষয় নয়, অতীত জীবনের বাস্তব গল্প কাহিনী। মুখস্ত না করে, ইতিহাস বুঝে গল্পের আকারে শুনলে বা পড়তে পারলে তা অনেক বেশি হৃদয়ঙ্গম হয় এবং মনেও থাকে। তিনি বলেন শুধু তথ্যভিত্তিক নয়, বরং অতীত দিনের কাহিনিকে মানচিত্র ও সময়-সারণির সঙ্গে মিলিয়ে বুঝে নিতে পারলে, তা হৃদয়-পটে ছবি আঁকা হয়ে যায়, সহজে আর ভোলা যায় না। ভাষা জ্ঞান ঠিক থাকলে পরীক্ষার খাতায় তার প্রতিফলন অবশ্যই উঠে আসে। আর সর্বোচ্চ নম্বর পেতেও অসুবিধা হয়না। প্রাণপ্রিয় কিশোরমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তিনি আশীর্বাদ জ্ঞাপন করে বলেন, আমি আশা করবো, তোমরা ইতিহাস সহ অন্যান্য বিষয়েকেও এমনই করে পড়বে। তোমাদের পরীক্ষা অবশ্যই ভালো হবে এবং জীবনে ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।

এরপর ইতিহাসের কর্মশালা পরিচালনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষক সাহাবুল ইসলাম গাজী। তিনিও তাঁর কথার রেশ ধরে বলেন, ইতিহাস পাঠে মজা আনতে হবে এবং তার জন্য পাঠ্যপুস্তক খুঁটিয়ে পড়া প্রয়োজন। নিজের ভাষায় উত্তর লেখা এবং প্রশ্নপত্র অনুযায়ী উত্তর লেখার অভ্যাস করা খুবই জরুরি। তিনি আরো বলেন, প্রায়ই দেখা যায়, ইতিহাস পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের সময় অভাব ঘটছে। প্রশ্নপত্রের মান অনুযায়ী সময় ধরে একদম টু দ্য পয়েন্ট লেখার অভ্যাস করলে, এমনটি কিন্তু হওয়ার কথা নয়। মাধ্যমিকের প্রশ্ন পরিকাঠামো সময়ের মধ্যে খুব সুন্দরভাবে শেষ করা যায়,এমন ভাবেই প্রস্তুত করা হয়।

প্রত্যেক দিনের মতো এদিনও ৩৬ নম্বর mcq সম্বলিত প্রশ্নের পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহণ করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা এদিন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে, তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। অনুসন্ধান কলকাতার চিপ অ্যাডভাইজার বিজ্ঞানী মতিয়ার রহমান খান ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শুভকামনা জানান এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের গুণীজন সহ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা পেশ করেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ