জেলা 

Khejuri: তৃণমূল – বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত খেজুরি, বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হত ২ তৃণমূল কর্মী

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :  রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ২ নং ব্লকের একাধিক এলাকা। গোড়াহাট, কটকাদেবীচক প্রভৃতি এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হামলায় বিজেপি-র বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ।

খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, “সোমবার রাতে বোমা বাঁধার সময় পশ্চিম ভাঙ্গনমারী বুথে জোরালো বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয়রা গিয়ে দেখেন কয়েক জন রক্তাক্ত অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছেন। ঘটনাস্থলেই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জনের নাম অনুপ দাস বলে জানা গিয়েছে। আর এক জনের পরিচয় জানা যায়নি।”

Advertisement

শান্তনুর অভিযোগ, এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দওয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার সকালে বিজেপি নেতা কর্মীরা এলাকায় যাওয়ার উদ্যোগ নিতেই তাঁদের ওপর তৃণমূলের লোকজন চড়াও হন। অভিযোগ, থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বোমা বিস্ফোরণ হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। বিজেপি বিধায়কের আরও অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর জন্যই তৃণমূল খেজুরিতে বোমা বন্দুকের আখড়া তৈরি করেছে।

শান্তনুর অভিযোগ, ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন থেকেই নতুন করে বিজেপি নেতা কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে দফায় দফায় তৃণমূলের হামলায় জখম হয়েছেন কটকাদেবীচকের বিজেপি কর্মী বুলা গিরি-সহ বেশ কয়েক জন নেতা কর্মী। রড দিয়ে মেরে বুলার পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিজেপির ৮ জন জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “খেজুরিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা শুনেছি। আমার মনে হয় গোটা ঘটনা তদন্ত করা দরকার। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, নাকি পরিকল্পনা করে বোমা রেখে দেওয়া হয়েছিল। অথবা তৃণমূল কর্মীদের ওপর বোমা মেরে খুন করা হয়েছে কি না সেটা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলেছি। যদি এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এটা যদি কোনও ষড়যন্ত্র হয়, তবে তার বিরুদ্ধেও যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, পুলিশকে সেটাও খতিয়ে দেখতে বলেছি।”

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ