Covid Restrictions : করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বাতিল হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর সভা, বাংলা কি ফের লকডাউনের পথে?
বাংলার জনরব ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে আগামী সোমবার তেসরা জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে পুস্তক সপ্তাহ পালনের যে কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর অংশ নেয়ার কথা ছিল সেই কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ পয়লা জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ তেসরা জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কোন সভা হচ্ছে না এটা পরবর্তীকালে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে আজ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়া রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর আগামী সপ্তাহ থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। নতুন করে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য সরকার। কারণ এই উৎসবের মরসুমে করোনা প্রটোকল তুলে নেয়ার কারণেই সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য রাজ্য সরকার আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এখনই আংশিক লকডাউন বা কড়া বিধিনিষেধ জারির কথা ভাবা হচ্ছে না। এক্ষুণি বন্ধ হচ্ছে না ট্রেন, বাস এবং মেট্রো পরিষেবা। পরিস্থিতি বুঝে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ জারির কথা ভাবা হবে বলে ওই সূত্রের খবর।
রাজ্যে সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক ভাবে বাড়লেও হাসপাতালগুলিতে করোনারোগীর ভিড় উপচে পড়ার মতো ঘটনা এখনও দেখা যায়নি। অক্সিজেন বা অন্য চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতার অভিযোগও ওঠেনি। তা ছাড়া, সংক্রমণের হার বাড়লেও মৃত্যুর হার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠেনি। এই পরিস্থিতিতে তাই ‘ধীরে চলো নীতি’ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের ৮০ শতাংশই উপসর্গহীন। উপসর্গযুক্ত রোগী ২০ শতাংশ। তাঁদের মধ্যে ১৭ শতাংশই বাড়িতে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠছেন। মাত্র ৩ শতাংশকে হাসাপাতালে ভর্তি করাতে হচ্ছে। টিকাকরণের ফলেই এ বার উপসর্গযুক্ত রোগী এবং মৃত্যুর হার কম বলে মত চিকিৎসকদের অনেকেরই।