কলকাতা 

Covid-19 with Omicron : রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ কঠোর বিধি নিষেধের পথেই নবান্ন !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : রাজ্যের করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে । বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবারের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ফলে রাজ্য সরকার  সর্তক বার্তাও দিয়েছে । মনে করা হচ্ছে বিভিন্ন উৎসবের কারণে বাংলায় ফের সংক্রমণ বাড়ল । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়ে দিয়েছে, ওমিক্রণ সুনামীতে ভেঙে পড়তে পারে সমগ্র বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা । এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন , অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে কঠোর বিধি নিষেধ জারি করতে হবে। ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু সেই সঙ্গেই দোটানায় রাজ্য প্রশাসন— রাজ্য জুড়ে সংক্রমণ ঠেকাতে কি অবিলম্বে নাইট কার্ফু জারি করা হবে? করা উচিত?

বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িতরা মনে করছেন, কলকাতায় সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে বিভিন্ন মরসুমি উৎসব পালনের কারণে। এমনিতেই ঠান্ডায় করোনাভাইরাসের দ্রুত বংশবৃদ্ধি হয়। ফলে বছরের শেষে শীতকালে বড়দিন বা বর্ষবরণের মতো অনুষ্ঠান ‘বিপজ্জনক’। বস্তুত, বড়দিনের সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিটে যে ভিড় হয়েছিল, তা শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশকে শিহরিত করেছে। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘যে ছবি দেখা গিয়েছে, তা ভয়াবহ! তিনটে একডালিয়া, দুটো চেতলা অগ্রণী সঙ্ঘ, তিনটে সুরুচি সঙ্ঘ আর দুটো বাবুবাগান যোগ করলে ওই ভিড় হয়। অবিলম্বে এগুলো বন্ধ করা উচিত।’’ ওই কর্তা আরও মনে করেন, অবিলম্বে নাইট কার্ফু জারি করে বর্ষবরণের উৎসব বাতিল করা উচিত।

চিকিৎসাশাস্ত্রের সঙ্গে জড়িত এবং ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা করোনার ডেল্টা রূপের কারণেই। এর সঙ্গে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়ালে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হবে। তাঁদের মতে, অবিলম্বে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ না করলে পরিস্থিতি আবার আগের মতো ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াবে। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে ওমিক্রন অত্যন্ত ছোঁয়াচে। ফলে এতে সংক্রমণের পরিমাণ অনেকটাই বেশি হবে। যার দরুন হাসপাতালে রোগীদের স্থান সঙ্কুলানে সমস্যা হতে পারে। রাজ্য সরকারকে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি রাখতে হবে। সিদ্ধান্তও নিতে হবে।

Advertisement
প্রসঙ্গত, পরিস্থিতি ঘোরাল বুঝে ইতিমধ্যেই এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালকে আবার কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ঘনঘন স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকও করা হচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রোগ উপশমের চেয়ে রোগের সংক্রমণ ঠেকানো এই মুহূর্তে অনেক বেশি জরুরি। এক বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘সরকার যদি মনে করে, তা হলে কঠোর তম কড়াকড়ি জারি করতে পারে। সেটা আমরা এ রাজ্যের ক্ষেত্রে আগেও দেখেছি। কিন্তু পুরোটাই নির্ভর করছে রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা যাতে নাগালের বাইরে না চলে যায়, সেই কারণেই এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের আরও বেশি করে উদ্যোগী হওয়া উচিত। করোনার এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যে বর্ষবরণের উৎসব জারি রাখলে আমার কিন্তু সর্বনাশের পথে পা বাড়াব! অবিলম্বে নাইট কার্ফু জারি করলে তা-ও পরিস্থিতি খানিকটা আয়ত্তের মধ্যে থাকতে পারে।’’

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ