কলকাতা 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রাখুন বিশ্বাস রাখুন সংখ্যালঘু সমাজের আরও উন্নয়ন হবেই : গোলাম রব্বানী

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে সংখ্যালঘুদের শুধু উন্নয়ন নয় সবার উন্নয়ন হয়েছে। লক্ষীর ভান্ডার থেকে শুরু করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সমস্ত স্তরে উন্নয়নের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সংখ্যালঘু সমাজের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে মমতার প্রতি আস্থা রাখুন বিশ্বাস রাখুন। আজ বৃহস্পতিবার রাইটার্স বিল্ডিং-এ সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন নবনিযুক্ত মন্ত্রী গোলাম রব্বানী।

এদিন বেশ কয়েকজন শিক্ষক, লেখক সাংবাদিক এবং তরুণ ছাত্র সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাৎ করার সময় একগুচ্ছ প্রস্তাব মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন শিক্ষক এবং বাংলার জনরব নিউজ পোর্টালের সাম্মানিক সম্পাদক সেখ ইবাদুল ইসলাম।

Advertisement

এই প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার তপসিয়ার মনু মেমোরিয়াল হাই মাদ্রাসার টিচার ইনচার্জ মাওলানা আব্দুল ওহাব, মেটিয়াবুরুজের সাতঘরা হাই মাদ্রাসার প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক হারুন আল রশিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুহা. ইমরান সিদ্দিকী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল বিভাগের ছাত্র মেহমুদ আলম  প্রমুখ।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মন্ত্রী এবং মন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্রেটারি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা বলেন। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে আলোচনা চলে। রাজ্যের চলমান মাদ্রাসা শিক্ষার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মন্ত্রী মতবিনিময় করেন একইসঙ্গে প্রতিনিধিদলের মতামত গুরুত্ব সহকারে শোনেন। আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে সংগতি রেখে মওলানা আব্দুল ওহাব সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রীকে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত ১০ বছরে একটা নতুন মাদ্রাসার অনুমোদন দেননি। এ কথা শোনার পর মন্ত্রী বলেন, এটা আগে আমাকে কেউ বলেনি, আমি শুনলাম অবশ্যই আপনাদের এই প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে।

নবান্নে গিয়ে বাংলার সাধারণ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকেও আধিকারিকদের দেখা পান না, বা  তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না। আমাদের এ কথা শোনার পর মন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, নবান্নে নয় রাইটার্স আসুন এখানে আপনাদের আপনজন বসে আছেন। মন্ত্রী গোলাম রব্বানী সাহেব বলেন, আমি রাইটার্স এ  বসে আছি এই কারণেই যাতে বাংলার সংখ্যালঘু সমাজ তাদের সমস্যাগুলিকে আন্তরিকতার সঙ্গে আমার কাছে বলতে পারেন।  তাদের কাছের মানুষের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দিতেই আমি এখানে বসছি।

একইসঙ্গে মন্ত্রী গোলাম রব্বানী এদিন আমাদের প্রস্তাবের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, অনেকেই এসেছেন কিন্তু কেউ এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে আমার কাছে আসেনি আপনারা যে লিখিত প্রস্তাব জমা দিলেন তা আমি সবটা পড়বো এবং যেগুলো আমাদের করার সেগুলো আমরা অবশ্যই করবো। আমাদের প্রস্তাবে দুটি বিষয় ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই দুটি বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছি সমস্ত হাই মাদ্রাসা গুলো উচ্চমাধ্যমিকে রূপান্তরিত করা হবে, আর আমাদের প্রস্তাবের মধ্যে ছিল সংখ্যালঘু সমাজের মানুষদের হয়রানি রুখতে একটা অ্যাপ তৈরি করা হোক যে অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নবান্ন এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে পারবে। এই প্রস্তাবের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই গত পরশুদিন সংখ্যালঘু দপ্তরের সমস্ত ডিপার্টমেন্টগুলিকে নিয়ে একটা অনলাইন ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে।

মন্ত্রী এদিন মাদ্রাসাগুলিতে  শিক্ষকের অভাব রয়েছে স্বীকার করে নিয়ে বলেন, আমরা এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেয়েছি। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। সাড়ে তিন হাজারের মত শিক্ষক পদ ফাঁকা রয়েছে তা পূরণ করা হবে’। এ প্রসঙ্গে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয় সাড়ে তিন হাজার নয় আরো বেশি রয়েছে। মন্ত্রী সহমত ব্যক্ত করে বলেন, বেশি আছে যেটা আমাদের কাছে সরকারিভাবে রয়েছে সেটা আমরা বলছি এখন পরে যা আসবে দেখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন বাংলার সংখ্যালঘু সমাজ দুহাত ভরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছেন। আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রাখুন বিশ্বাস রাখুন সংখ্যালঘু সমাজের আরো উন্নয়ন হবে বলে মন্ত্রী এদিন প্রতিশ্রুতি দেন।

আমরা যে প্রস্তাব মন্ত্রীর কাছে দিয়েছি তা পাঠকদের উদ্দেশ্যে এই খবরের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেয়া হলো। তবে মন্ত্রী এদিন বলেন শুধু সরকার এককভাবেই সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করতে পারবে না সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করতে হলে সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।

আজকের এই বৈঠকের নেপথ্যে মন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্রেটারি জুলফিকার হাসানের ভূমিকাকে অস্বীকার করা যাবে না। তিনি আমাদেরকে সবরকম সাহায্য এবং সহযোগিতা করেছেন। তিনি শুধু আমাদেরকে নয় রাইটার্স বিল্ডিং এ আসা সমস্ত ভিজিটরকে তিনি যেভাবে সাহায্য এবং সহযোগিতা করছেন তার এই উদ্যোগকে আমরা সম্মান জানাচ্ছি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ