প্রচ্ছদ 

দেশের প্রয়োজন বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য, অভিন্ন দেওয়ানী আইন নয় / তায়েদুল ইসলাম

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

তায়েদুল ইসলাম : আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার দেশকে ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। দেশের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করে হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টার ত্রুটি করছে না। ক্ষুধা ও ভয় থেকে মুক্তি পেতে দেশের আপামর জনসাধারণ এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন ।

এই লড়াই ক্রমশ গোটা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে এবং শক্তিশালী হচ্ছে। এই অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে জনগণের এই লড়াইকে বিভ্রান্ত এবং বিপথে পরিচালিত করতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দিল্লি উচ্চ আদালতকে দিয়ে দেশে অভিন্ন দেওয়ানী আইন চালু করার বিষয়টি সামনে নিয়ে এল। দিল্লি উচ্চ আদালত স্বত্ব প্রণোদিত হয়ে কেন্দ্রিয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে অভিন্ন দেওয়ানী আইন চালু করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। বিষয়টি দেশবাসীর কাছে ভীষণ উদ্বেগের। আমাদের দেশ নানা ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতির সহাবস্থানবাদী।

Advertisement

কবির ভাষায় ” নানা ভাষা, নানা মত , নানা পরিধান ,বিবিধের মাঝে দেখ মহান মিলন” । ইতিহাসের অনেক সংকট মুহূর্তে এই মহা মিলন দেশকে রক্ষা করেছে এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছে। আজকে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদের আক্রমণ থেকে দেশকে বাঁচাতে বেশি বেশি দরকার বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে মজবুত করা। এর মধ্যে দিয়েই সব প্রদেশের , ধর্মের, ভাষার , সংস্কৃতির মানুষ তথা বাঙালি অবাঙালি, মুসলিম অমুসলিম, আদিবাসী সকলে মিলে লড়াই করে দেশকে রক্ষা করবে। বিজেপির পরিকল্পিত অভিন্ন দেওয়ানী আইন সবাইকে সবার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামিয়ে দেবে। গৃহযুদ্ধ শুরু হবে।

দেশ ও দেশের মানুষ ধংস হয়ে যাবে। আরএসএস এর তাত্ত্বিক গুরু গোলওয়ালকর যে হিন্দু রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছেন তার বৈশিষ্ট্য হল এক দেশ,এক নেতা,এক ভাষা,এক সংস্কৃতি , এক পছন্দ,এক আইন। সেই লক্ষ্যে দিল্লি উচ্চ আদালতের এই রায়। এই রায় কেন্দ্রিয় সরকারের ফরমায়েশি রায়।

দেশের সকল মানুষের কাছে আবেদন করছি আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামি যাতে বিজেপি অভিন্ন দেওয়ানী আইন চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে দুরে থাকতে বাধ্য হয়।

আরোও একটি বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে, সংবিধানের ৪৪ নং ধারা যতদিন বহাল থাকবে ততদিন আমাদের সামনে এই বিপদ ঝুলবে। ভবিষ্যতে যে কোন সরকার এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। সেই জন্য আমাদের দাবি তোলা দরকার সংবিধানের ৪৪ ধারা বাতিল করতে হবে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ