দেশ 

করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ভারতে আশঙ্কা এমস প্রধানের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: করোনাভাইরাস আরো ভয়ঙ্কর রূপে আঘাত হানতে চলেছে ভারতে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে। অক্টোবর কিংবা নভেম্বর নয়, আর মাত্র ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ মারাত্মকভাবে আছড়ে পড়তে পারে ভারতের বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।

এর নেপথ্যে রয়েছে মূলত ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট, যা কোভিড-১৯ অন্যান্য ধরন ডেল্টা, আলফার চেয়ে অনেক বেশি মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। আর তা নিয়েই উদ্বেগ বেড়েছে।

Advertisement

এইমস প্রধান ডক্টর গুলেরিয়ারও একজাতীয় সংবাদমাধ্যমে মত প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ”লকডাউনের পর এই যে আনলক পর্ব, তাতেই কোভিড বিধি একধাক্কায় ভেঙে ফেলার আশঙ্কা থাকে। আমরা প্রথমবারের থেকে কিছুই যে শিখিনি, দ্বিতীয় ধাক্কাতেই তা বোঝা গিয়েছে। ফলে আশা করা যায় না যে করোনার তৃতীয় ধাক্কা এড়াতে সকলেই খুব সাবধানতা অবলম্বন করবেন। তবে অবশ্যই যথাযথ বিধি মেনে ভিড়, জমায়েত এড়িয়ে চলতে পারলে অনেকটাই সহজ হবে এর মোকাবিলা করা।”

এইমস প্রধানের মতে, ”যথাযথ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে বুঝতে হবে, ঠিক কেমন চরিত্র ভাইরাসের এই নয়া রূপের। মনোক্লোনাল চিকিৎসা কি এতে প্রযোজ্য হবে? সেটাও দেখার বিষয়। সবচেয়ে আগে যেটা করা প্রয়োজন, সেটা হল দেশের গবেষণাগারগুলিতে যাতে ঠিকমতো সব পরীক্ষা হয়, সেদিকে জোর দেওয়া। এই ধাক্কা সামলাতে প্রয়োজন আরও দক্ষ কোভিড যোদ্ধাদের। কারণ, এটা এক নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।” তিনি আরও মনে করেন, টিকাকরণ  একটা বড় চ্যালেঞ্জ। দ্রুত দেশবাসীর টিকা বড়ই প্রয়োজন। ইতিমধ্যে দেশের মাত্র ৫ শতাংশ লোকের টিকাকরণ হয়েছে, যা মোটেই সন্তোষজনক নয়।

এদিকে, করোনাবিধি যথাযথভাবে পালিত হয়, তা নিয়ে শনিবার রাজ্যগুলিকে নোটিস পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়েছেন তিনি। তাতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-ভ্যাকসিনেশন’ চতুষ্পদী সমীকরণ ঠিকমতো মেনে চলতে হবে এবং কোথাও যাতে এর অন্যথা না ঘটে, তা দেখতে হবে।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ