দেশ 

ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস প্রখ্যাত সাংবাদিক দেশের বিবেক তরুণ তেজপাল, হারিয়ে যাওয়া সাত বছর ফিরিয়ে দিতে কি পারবেন অভিযোগকারিণী ?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত কলম চালানোর দায়ে তার বিরুদ্ধে যে ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছে বিজেপি সরকার তা নিয়ে সেই সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। শুক্রবার আদালত সেই অনুমানের  ছিল সীলমোহর দিলো। ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন ভারতের অন্যতম প্রথম সারির সাংবাদিক বিবেকবান ব্যক্তিত্ব তেহেলকা প্রতিষ্ঠাতা তরুণ তেজপাল।

এদিন রায় ঘোষণার পর আবেগী হয়ে পড়েন তেজপাল। তিনি বলেন, “ন্যায়বিচারের জন্য আমি আদালতকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে তবেই এই রায় দিয়েছে আদালত। আমাকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছিল। বিগত সাড়ে সাত বছর আমার পরিবারের কাছে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। এই মিথ্যা অভিযোগের ফলে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের প্রতি পদে আমরা যন্ত্রণা ভোগ করেছি।” এদিন করোনায় মৃত তাঁর আইনজীবী রাজীব গোমসকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তেজপাল। বলে রাখা ভাল, এই মামলায় বুধবারই রায় ঘোষণা করার কথা ছিল আদালতের। তবে ঘূর্ণিঝড় তাওকতের জন্য প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ায় রায়দানে দেরি হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে গোয়ায় একটি কনফারেন্স চলাকালীন এক সহকর্মীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে তরুণের বিরুদ্ধে। তাঁর এক মহিলা সহকর্মী অভিযোগ করেন যে গোয়ার এক হোটেলের লিফটে তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেন ওই সাংবাদিক। এই মর্মে গোয়া পুলিশের কাছে এই সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করা হয়।

এরপর ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার করা হয় তরুণ তেজপালকে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর ২০১৭ সালে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় তেজপালের বিরুদ্ধে। মামলার শুনানি শুরু হয় গোয়ার আদালতে। এর আগে অবশ্য বম্বে হাই কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন তিনি। এছাড়া, দেশের শীর্ষ আদালতেও শ্লীলতাহানির মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তেজপাল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করার অনুরোধও ছিল। কিন্তু, তেহলকা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা তরুণ তেজপালের সেই আবেদনকে মান্যতা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

eight − 4 =