জেলা 

কাটমানি ইস্যূতে গণ আন্দোলনের পথে বাংলা ?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটমানি ইস্যুতে মন্তব্যকে ঘিরে যতই সমালোচনা হোক না কেন ? বাস্তবে স্বচ্ছ বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে কাটমানি আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন । এদিকে এই কাটমানি ইস্যুতে সমগ্র রাজ্য জুড়ে গণ আন্দোলন চোখে পড়ছে । সেই গণআন্দোলনে এবার শিকার হলেন একশো দিনের কাজের সুপারভাইজার । তাকে রীতিমত গলায় গামছা দিয়ে টেনে এনে গাছে বেঁধে মারধোর করা হয়ে বলে অভিযোগ ।

জানা গেছে ,একশো দিনের প্রকল্পে নর্দমা সংস্কারের কাজ হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েতে। সোমবার ভোরে জুজারপুর গ্রামে ওই পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের প্রকল্পের সুপারভাইজার শেখ হাবিবুলকে গলায় গামছা দিয়ে বাড়ি থেকে বার করে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। হাবিবুলের দাবি, “যে কাজের ‘কাটমানি’ ফেরতের দাবি উঠছে, আমি তার সুপারভাইজার ছিলাম না। সে কথা না শুনেই মারল ওরা।’’ বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভীষ্মদেব ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “জনগণ অধিকার ফেরতের জন্যে রাস্তায় নামলে কোনও কথা কেউ শুনবে না।’’

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানেরই মঙ্গলকোটে কাটমানি’ ফেরতের দাবিতে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে প্রধানকে না পেয়ে ‘পঞ্চায়েতে তালা ঝোলানো এবং দুই কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত বিজেপি। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শিশির ঘোষের বক্তব্য, ‘‘মানুষ ক্ষোভেই মারধর করেছেন।’’

দুই তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার ভালদা গ্রামেও। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন, এই মর্মে মুচলেকা দিতে হয় ওই দু’জনকে।

মুচলেকা দিয়ে ঘেরাও-মুক্ত হন তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বিদায়ী পুরপ্রধান মিঠু সিংহ সরকারের স্বামী তথা পুরসভার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বিষ্ণু অধিকারীও। তিনি তৃণমূলের পুর কর্মচারী সংগঠনের রাজ্য কমিটির সহ-সম্পাদক। বিজেপির মেখলিগঞ্জ শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশেকার রহমানের অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্ল্যান অনুমোদনের জন্য পুরসভা দু’হাজার টাকা করে নিয়েছে। কিন্তু ১০০ টাকার রসিদ দেওয়া হয়েছে।’’

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট বাজার লাগোয়া এলাকায় ‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে এলাকার তিন তৃণমূল নেতার নামে সচিত্র ‘ফ্লেক্স’ লাগানো হয়েছে। এঁরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রাজকুমার কুণ্ডু, বাসুদেব রায় এবং অতনু গুছাইত। কেউই অভিযোগ মানেননি।

রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক তথা তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহের ছবি দিয়ে পোস্টার পড়েছে নদিয়ায়। ওই সব পোস্টারে রয়েছে প্রশ্ন: ‘…কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারির কাটমানির জোরেই কি রানাঘাট জেলার সভাপতি শঙ্কর সিংহ?’ সৌজন্যে ‘প্রকৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ’। অভিযোগ উড়িয়ে শঙ্কর বলেন, ‘‘যাঁরা এ সব করছেন তাঁদের বলব, আড়ালে না থেকে সামনে এসে যা বলার বলুন।”

প্রাথমিক স্কুলে শ্রেণিকক্ষ তৈরিতে দুর্নীতি ও ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ হয়েছে হাওড়ার আমতা-১ ব্লক অফিসে।

সৌজন্যে ডিজিটাল আনন্দবাজার


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

4 × two =