দেশ 

সংবিধানের ৩০ এর ‘এ’ ধারার সমর্থনেই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির

শেয়ার করুন
  • 185
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন মামলার আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরামের তরফে প্রখ্যাত আইনজীবী ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়  সওয়াল করেন। কমিশনের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে ফোরামের আইনজীবী সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকারকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানালেন। তিনি বলেন, ভারতের সংবিধানের ৩০ এর এক ধারায় বলা হয়েছে, সংখ্যালঘুরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবে। কিন্তু তারা কি নিয়োগ করতে পারবে? এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রশ্নের উত্তরে  বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ যে সংবিধানের ত্রিশের এক ধারায়  সংখ্যালঘুদের নিজেদের ইচ্ছামত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করার অধিকার দেওয়া আছে। এর ব্যাখ্যাটা কি হবে? বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ ইঙ্গিত করছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন কি বিলুপ্তির পথে?

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতের সংবিধানের ত্রিশের এক ধারা অনুসারে সংখ্যালঘুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার এবং তার পরিচালন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ,  ত্রিশের দুই ধারাই ভারতীয় সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ধর্ম ও ভাষার দিক থেকে ভারতীয় সংখ্যালঘুদের পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাহায্যদানে রাষ্ট্র কোনো বৈষম্য করবে না। শুধুমাত্র এই অধিকার বলেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের অস্তিত্বের বিপন্ন মুখে দাঁড়িয়ে আছে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আজকের মামলার শুনানির বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোরামের সভাপতি ইসরারুল হক মন্ডলকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন কেটে দেন। আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়কেও বার বার যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মামমলাকারী কাঁঁথি রহমানিয়ার পক্ষের আইনজীবী আবু সোহেল বলেন, সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত আছে। সেই অধিকার বলেই ইনশা আল্লাহ জিতব। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১০ তারিখ। এদিকে মাদ্রাসা বোর্ড সংক্রান্ত মামলারও শুনানি ১০ তারিখ হওয়ার কথা রয়েছে।

Advertisement

শেয়ার করুন
  • 185
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

twenty + 9 =