আ.বা.মার সংখ্যলঘু অধিকার দিবস পালন
বিশেষ প্রতিনিধি : হুগলির শেওড়াফুলিতে 18.12.25 বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবস পালন করলো অলবেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন।সভার সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবু আফজাল জিন্না। “সংখ্যালঘুদের দূরাবস্থা ও উত্তরণের পথ ” এই বিষয়ের উপর এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন সংগঠনের ও সমাজকর্মী মানুষজন উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন।মৌলানা ইসাহক,বাওজুল হোসেন, আজিজুল হক, বন্ধুর হাত সংস্থার সর্পমিত্র অরিন্দম চক্রবর্তী মৌলানা আনোয়ার শাহ জামাতি ইসলাম হিন্দের হুগলি জেলার নাজিম সৈয়দ সাইফুল্লাহ সাহেব ইমাম সংগঠনের রফিকুল ইসলাম আরো অনেকে।বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে, বর্তমান সময়ে সংখ্যালঘুদের রাবার স্ট্যাম্প রুপে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক দলগুলো।ও বি সি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।সাচার কমিশনের রিপোর্ট ও রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের রিপোর্ট, কুন্ডু কমিশনের রিপোর্ট মান্যতা দেওয়ার জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা দরকার, সরকার তা করছেনা।
অনেক জনপ্রতিনিধি সংবিধান বিরোধী কথাবার্তা বলছে প্রশাসন কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা।আমরা অনেকেই শঙ্কিত কেন্দ্রীয় সরকার কি করতে চাইছে দেশটাকে। তিনি হয়তো ভুলে গেছেন। সংবিধান শপথ করে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন তিনি সব ধর্মের মানুষের প্রধানমন্ত্রী।সারা দেশ জুড়ে ধর্ম ধর্ম খেলা চলছে উন্নতির কোনো কথা নেই।এস আই আর হওয়া ভালো কিন্তু একটা সম্প্রদায়কে টার্গেট করে ঘৃণার বীজ ছড়ানো হচ্ছে এটা কখনোই কাম্য নয়। শান্তিকামী মানুষজন এটা প্রত্যাশা করেন না একটা সেক্যুলার সরকারের কাছে। ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখল হয়ে রয়েছে কয়েক লক্ষ একর তা উদ্ধার করে ইমাম ভাতা বৃদ্ধি করা দরকার। কারণ ইমাম ভাতা চালু করে মহাবিপদ হয়ে গেছে,কারন কমিটি সাম্মানিক বৃদ্ধি করছে না ইমাম ভাতার দোহাই দিয়ে,উল্টে ইমাম ভাতা বৃদ্ধি করেনে আজও সরকার। ইমাম ভাতা নুন্যতম দশ হাজার টাকা ও মুয়াজ্জিন ভাতা পাঁচ হাজার টাকা অবশ্যই করা দরকার।

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের চার্চ গুলো কে সু শোভিত করা উদ্যান গুলো সুন্দরযায়ন করা দরকার। লক্ষনীয়, এক শ্রেণীর মানুষ দাঙ্গা লাগাবার জন্য মসজিদ মাদ্রাসায় হামলা করছে, সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াচ্ছে,আমরা দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে। সুতরাং হিন্দু, বৌদ্ধ ,খ্রিষ্টান, মুসলিম, ইত্যাদি সম্প্রদায় মিলে মিশে বসবাস করি। দেশ তথা রাজ্যে এই সম্পৃতি বজায় রাখার জন্য প্রশাসন কে তিক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।এম এস কে ও আন এডেড মাদ্রাসার দূরবস্থা ঘুচলোনা।
বিগত বছরগুলোতে সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য যা যা করেছেন তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।জেহাদি শব্দের বিকৃত করে প্রচারনাকরছে এক শ্রেণীর মিডিয়া সেটাও বক্তব্যে উঠে আসছে।এখন কিছু দালাল সংগঠক ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সরকারের গুনকির্তন করতে মাঠে ময়দানে নেমে পড়েছে তাদের প্রতি আমাদের অনেক ঘৃণা। বাংলার সম্পৃতি কোন মতেই নষ্ট হোক এটা আমরা চাই না।দেশ ও রাজ্যের মানুষের কল্যাণ কামনা করে মৌলানা নজরুল ইসলামের দোয়ার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

