কলকাতা 

BLO রিঙ্কু তরফদার সহ ২৮ জনের মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশনের, কমিশন রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে : শবনম মুস্তারী 

শেয়ার করুন

২৩ নভেম্বর ২০২৫, কলকাতা : নদিয়ার কৃষ্ণনগরে BLO রিঙ্কু তরফদারের আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা রাজ্য। তাঁর সুইসাইড নোটে তিনি স্পষ্টভাবে লিখে গিয়েছেন যে BLO-র অন্তহীন দায়িত্ব, অফিসের কঠোর তদারকি, কাজ শিখিয়ে না দিয়ে ক্রমাগত চাপ দেওয়া, এবং ব্যক্তিগত জীবন ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন—“বাবার যত্ন নিস”, “সব চাপে আমি আর পারছি না, আমার মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী”—যা পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দেয় যে প্রশাসনিক নিপীড়ন এবং নির্বাচন কমিশনের অযৌক্তিক SIR প্রক্রিয়া তাঁর আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।

দুই পাতার এই চিঠি দেখেই বোঝা যায়, একজন মহিলা শিক্ষককে কীভাবে অনবরত ভয়, তদারকি, অসহযোগিতা ও বাধ্যতামূলক কাজের চাপে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। অতএব এটাই স্বাভাবিক বাকিদেরকেও এভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।

Advertisement

সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের নামে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের নির্মমতম উদাহরণ বলে অভিহিত করছে এবং স্পষ্ট ঘোষণা করছে যে রিঙ্কু তরফদার সহ বাকি ২৮ জনের মৃত্যুর সম্পূর্ণ দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়াকে শুধুমাত্র নির্বাচনী লাভ তোলার জন্য নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করছে। কমিশন আজ বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে সাধারণ মানুষ এবং বুথ পর্যায়ের BLO-দের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

এসডিপিআই জোরালোভাবে দাবি করছে— পর্যাপ্ত সময় নিয়ে SIR প্রক্রিয়া করতে হবে এবং ২০০২ সালে যেই পদ্ধতিতে করা হয়েছে সেভাবেই ২০২৪ সালের ভোটার তালিকাকে মান্যতা দিয়ে করতে হবে। বুথ পর্যায়ের কর্মীদের জন্য মানবিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; কাজের চাপ যুক্তিসঙ্গতভাবে পুনর্বিন্যাস করতে হবে; রিঙ্কু তরফদারের পরিবার সহ বাকি মৃতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে; এবং দায়িত্বহীন ও নিপীড়নমূলক আচরণের জন্য দায়ী নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে হবে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ