কলকাতা 

কয়েকশো কোটি জিএসটি জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার ব্যবসায়ী

শেয়ার করুন

কয়েকশো কোটি টাকার জিএসটি জালিয়াতির অভিযোগে কলকাতা থেকে গ্রেফতার হলেন জিতেন্দ্রকুমার চৌরাসিয়া নামে এক ব‌্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার ওই ব‌্যবসায়ীকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়।

ব‌্যবসায়ীর জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। তিনি আদালতে আবেদনে জানান, জম্মু ও কাশ্মীরে জিএসটি কর্তৃপক্ষ প্রথমে তাঁর লাইসেন্স বাতিল করলেও পরে তা ফিরিয়ে দেয়। কলকাতায় জিএসটি কর্তৃপক্ষ ওই ব‌্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে, তা সঠিক নয়। জিএসটি কর্তৃপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের বক্তব‌্য শুনে ধৃত ব‌্যবসায়ীকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

জিএসটি সূত্রের খবর, ওই ব‌্যবসায়ীর নিকোটিন জাতীয় বস্তু সরবরাহের ব‌্যবসা বলে দাবি করেন। তারই ভিত্তিতে ওই ব‌্যবসায়ীর দু’টি সংস্থার সন্ধান মেলে। জানা যায়, দু’টি বেসরকারি সংস্থারই কর্ণধার ধৃত ব‌্যবসায়ী জিতেন্দ্র চৌরাসিয়া। প্রথমে ব‌্যবসায়ী জম্মু ও কাশ্মীরে ব‌্যবসা করতেন। সেখানেই প্রথমে জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে বলে অভিযোগ। ওই রাজ্যে তাঁর জিএসটির লাইসেন্স বাতিলও করে দেওয়া হয়। পরে ফের তা চালুরও অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর জিতেন্দ্র কলকাতায় ব‌্যবসা সরিয়ে নিয়ে আসেন। সম্প্রতি কসবা এলাকার জিএসটি অফিসও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। জিএসটি-র অভিযোগ, যে দু’টি সংস্থার মাধ‌্যমে ব‌্যবসা চলছে বলে দেখানো হয়, সেগুলি আসলে ‘কাগুজে কোম্পানি’। সংস্থাগুলি আদৌ কোনও ব‌্যবসা করে না।

কিন্তু সংস্থা দু’টির নামে প্রচুর ভুয়ো বিল, চালান ও ভুয়ো নথি তৈরি হয় বলে অভিযোগ। সংস্থাগুলির মাধ‌্যমে বিপুল টাকার সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে বলে দেখানো হয়। সামনে রাখা হয় ভুয়ো নথি। জিএসটির টাকা কাটা হয়েছে বলে দেখানো হয়। এভাবে ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত একটি সংস্থার মাধ‌্যমে ৪৩৩ কোটি ৩ লক্ষ টাকা ও অন‌্যটির মাধ‌্যমে ১৪ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা জিএসটি জালিয়াতি হয়। কিন্তু প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকা ওই ব‌্যবসায়ী আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

মঙ্গলবার জিএসটি দপ্তরে তাঁকে তলব করা হয়। জিএসটি গোয়েন্দারা তাঁর ব‌্যাঙ্ক অ‌্যাকাউন্ট ও অন‌্যান‌্য নথি সামনে রেখে জেরা করেন। ওই দু’টি সংস্থা ছাড়াও আরও বেশ কিছু ভুয়া সংস্থার মাধ‌্যমে টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের রয়েছেন জিতেন্দ্র। তাঁর সংস্থা থেকে পাওয়া নথিগুলি খতিয়ে দেখছেন জিএসটির গোয়েন্দারা।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ