ওয়াকফ আইন ১৯৯৫, বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে নয়া মামলা, কেন্দ্র ও রাজ্যকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
বাংলার জনরব ডেস্ক : ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন (Waqf Act) চ্যালেঞ্জ করে হওয়া নয়া মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) ও রাজ্যগুলিকে (State Governmet) সুপ্রিম নোটিস (Supreme Notice) । ২০২৫ সালের ওয়াকফ আইন চ্যালেঞ্জ করে হওয়া মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান মুলতুবি রয়েছে। এই অবস্থায় ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন চ্যালেঞ্জ করে হওয়া অন্য একটি মামলার সঙ্গে মঙ্গলবারের মামলাটি যুক্ত করে নোটিস জারি প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির।
১৯৯৫ সালের আইন কেন এতদিন পরে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে বলে মামলাকারীর আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়কে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। কেন এই দেরির কারণে মামলা খারিজ করা হবে না বলেও তাঁর প্রশ্ন।
২০১৩ সালের সংশোধনী ওয়াকফ আইনও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে বলে ওই আইনজীবী জানান। তাহলেও ১২ বছর দেরিতে কেন এই আবেদন? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।
১৯৯১ সালের প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ আইন ২০২০-২১ সালে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং ১৯৯২ সালের ন্যাশনাল মাইনোরিটি কমিশন আইনও বহু দেরিতে চ্যালেঞ্জ করা হলেও সুপ্রিম কোর্ট তা শুনছে। জবাব ওই আইনজীবীর।
১৯৯৫ সালের আইনটি চ্যালেঞ্জ করা হলেও আদালত তা ২০২৫ সালের সংশোধিত আইন বিরুদ্ধ মামলার সঙ্গে শুনতে চায়নি। যদিও ১৯৯৫ সালের আইন চ্যালেঞ্জ করে হওয়া অন্য মামলার সঙ্গে এই মামলাটি যুক্ত করা হলে কোন আপত্তি নেই বলে জানান অতিরিক্ত সলিসিদের জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি।
দেশে কেবলমাত্র মুসলিমদের জন্য তাদের দাতব্য প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত আইন রয়েছে। কিন্তু অন্য কোন ধর্মের ক্ষেত্রে একই রকম আইন নেই। তাই ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন চরম বৈষম্যমূলক বলে মামলাকারীর দাবি। দ্বিতীয়ত কোনও সম্পত্তি উৎসর্গ করা হলেই তা ওয়াকফ বলে চিহ্নিত হয়। কিন্তু সেই সম্পত্তি আইনসম্মত ভাবে পাওয়া বা সংগৃহীত কিনা, তা খতিয়ে দেখার কোন ব্যবস্থা ১৯৯৫ সালের আইনে নেই।
সূত্র: কলকাতা টিভি।