জুন মাসে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকতে চলেছে কেন্দ্র!
বাংলার জনরব ডেস্ক : ভারতের বুকে, পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলা, পালটা পাকিস্তানকে ‘সবক’ শেখাতে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া। ধারাবাহিক এসব ঘটনাই সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় সর্বস্তরে। ঘটনার পরপরই কেন্দ্রের কাছে বিরোধী দলগুলি দাবি তুলেছিল, এনিয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকে আলোচনা করা হোক। সূত্রের খবর, সেই ‘চাপে’ এবার বিশেষ অধিবেশন ডাকার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে কেন্দ্রের অন্দরে। এই মুহূর্তে ‘সন্ত্রাসী’ পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিদেশ সফরে সংসদের প্রতিনিধি দল। তাঁরা ফিরলে বিশেষ অধিবেশন হতে পারে বলে খবর।
দিল্লির অন্দরে জল্পনা, আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হতে পারে। সূত্রের খবর, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা থেকে শুরু করে অপারেশন সিঁদুর, ভারতের সংসদীয় দলের প্রতিনিধিদের সারা বিশ্বে ঘুরে ‘সন্ত্রাসবাদী’ পাকিস্তানের প্রকৃত চরিত্র তুলে ধরার যে প্রক্রিয়া কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে, সেই সবকিছু সংসদের ইতিহাসে নথিভূক্ত থাকুক, এমনই চাইছে সরকারপক্ষ। জানা গিয়েছে, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে যে সব সাংসদ বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন, তাঁরা ফেরার পর সেই অভিজ্ঞতা জানতে তাঁদেরকেই বলার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দল দেশে ফেরার পরে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি তুলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এ বিষয়ে কী কী ঘটছে, সেই ঘটনা পরম্পরা সবার আগে জানার অধিকার রয়েছে দেশবাসীর। তাই সংসদের বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে তা সকলের সামনে আনা হোক। তারও আগে, অপারেশন সিঁদুরের পরপরই লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও এই বিষয়টি নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবিতে সরব হয়েছিলেন। সেসব দাবিকে গুরুত্ব দিয়েই সম্ভবত পহেলগাঁও হামলা, অপারেশন সিঁদুর এবং তৎপরবর্তী কেন্দ্রের নানা পদক্ষেপ নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার ভাবনা শুরু করল মোদি সরকার।