ভারতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান বিমানবন্দর!
বাংলার জনরব ডেস্ক : শনিবার সকালে ভারতীয় সেনার পক্ষে সুফিয়া কুরেশী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,শনিবার ভোর থেকে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে শুরু করেছিল পাকিস্তান। নিশানা করা হয়েছিল ভারতের সেনাঘাঁটিগুলিকে। আদমপুর, উধমপুর, ভাতিন্ডার মতো কিছু কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতও পাল্টা জবাব দিয়েছে। পাকিস্তানের রফিকি, মুরিদ, চাকলালা এবং রহিম ইয়ার খানে পাক সেনার এয়ারবেসে আকাশপথে ভারত হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া, সুক্কুর এবং চুনিয়ায় পাক সেনাঘাঁটি, পসরুর এবং সিয়ালকোটের বিমান ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই, সরকারি ভাবে রহিম ইয়ার খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতের হামলার কথা স্বীকার করল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের হামলায় রহিম ইয়ার খান বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়ে ‘পিটিভি’ বলেছে, ‘‘পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বন্ধুত্বের চিহ্নকে নিশানা করেছে ভারত।’’
পাক পঞ্জাবের দক্ষিণে রহিম ইয়ার খান বিমানবন্দর শেখ জ়ায়েদ বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। এই বিমানবন্দর রাজস্থান সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ফলে ভৌগোলিক দিক দিয়ে ইসলামাবাদের কাছে এই বিমানঘাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হয়। এই বিমানবন্দর দিয়ে অসামরিক বিমান পরিষেবাও চলে।রহিম ইয়ার খান বিমানবন্দরের পাশাপাশি রাওয়ালপিন্ডির নুর খান, শোরকোটের রফিকি এবং চাকওয়ালের মুরিদ বিমানঘাঁটিতে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলেও মেনে নিয়েছে পাকিস্তান।
তবে পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর)-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি শনিবার জানিয়েছেন, ভারতের হামলায় পাক বায়ুসেনার কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তাঁর দাবি।
পাশাপাশি আকাশপথে নজরদারি ও প্রত্যাঘাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘এয়ার মোবিলিটি উইং’ এবং ‘এয়ার ডিফেন্স কমান্ড’-এর সদর দফতরও রয়েছে মধ্যে নুর খান বিমানঘাঁটিতে। ওয়াঘা-অটারী সীমান্তের অদূরে শোরকোটে পাক বায়ুসেনার রফিকি বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন জেএফ-১৭ এবং মিরাজ় ৫পিএ যুদ্ধবিমানের বহর। রয়েছে একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং কয়েকটি হেলিকপ্টার ইউনিটও। অন্য দিকে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অদূরে চাকওয়ালের মুরিদ বিমানঘাঁটি হল পাক বায়ুসেনার ড্রোনবহরের সদর। এই বিমানঘাঁটিতে পাঁচটি ড্রোন স্কোয়াড্রনই গত তিন দিন ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) ও সীমান্ত লঙ্ঘন করে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে বলে সেনা সূত্রের খবর।