৯০ ঘণ্টায় তিনবার বৈঠকের পরেও পাকিস্তানে আটকে পড়া বিএসএফ জওয়ান পূর্নমকুমার সাউকে ফেরানো নিয়ে কোনও আশার আলো দেখা গেল না!
৯০ ঘণ্টার মধ্যে তিনবার বৈঠক। তবু পাকিস্তানে আটকে পড়া বিএসএফ জওয়ান পূর্নমকুমার সাউকে ফেরানো নিয়ে কোনও আশার আলো দেখা গেল না। পাক রেঞ্জার্সের দাবি, সীমান্ত পেরনো বিএসএফ জওয়ান সংক্রান্ত কোনও তথ্য নাকি তাদের কাছে নেই। আবার পাক রেঞ্জার্সের আরও দাবি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া নাকি বাংলার জওয়ানকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসএফ কর্তা জানান, বুধবার বিকেল থেকে তাঁরা আশা করছেন পাকিস্তান হয়তো ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে। শুক্রবার পর্যন্ত এই ইস্যুতে তিনবার বৈঠকে বসেন বিএসএফ এবং পাক রেঞ্জার্সের উচ্চ আধিকারিকরা। কিন্তু সেই বৈঠকে আসা পাক প্রতিনিধিরা নাকি বুঝতেই পারেননি কেন বৈঠক ডাকা হয়েছে। পূর্ণমের অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে পাক রেঞ্জার্স জানায়, তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। তাঁকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে উচ্চ আধিকারিকরা নির্দেশ না দিলে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। যদিও ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে ফেলা আমজনতা এবং পাক রেঞ্জার্সের সদস্যকে সবসময় ফিরিয়ে দেয় ভারত, এমনটাই জানিয়েছেন ওই বিএসএফ আধিকারিক।

উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে পোস্টিংয়ে রয়েছেন হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফ পূর্নমকুমার সাউ। বুধবার বিকেলে ‘ভুল করে’ তিনি সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন। তারপরই তাঁকে আটক করে পাকিস্তানি সেনা। দীর্ঘ পাঁচদিন তাঁর কোনও খোঁজ নেই। কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন, আদৌ সুস্থ আছেন কি না, তাঁর উপর অত্যাচার চলছে কি না – বিন্দুবিসর্গও জানতে পারেননি কেউ। এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার পূর্ণমের রিষড়ার বাড়িতে যান বিএসএফ আধিকারিকরা। তাঁরা আশ্বাস দেন, ফিরিয়ে আনা হবে আটকে পড়া পূর্ণমকে। যদিও এসব মৌখিক কথায় আর ভরসা রাখতে নারাজ বিএসএফ জওয়ানের পূর্ণমকুমার সাউয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ। তাই হুগলির বাড়ি থেকে ৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার পাঠানকোট রওনা দিচ্ছেন স্ত্রী। সেখান থেকে তথ্য না পেলে দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রের কাছে স্বামীর খবরাখবর জানতে চাইবেন রজনীদেবী।