কলকাতা 

স্মরণে অধ্যাপক জালাল উদ্দিন : তিনি বলতেন, ছাত্র দুর্বল হয় না, দুর্বল হন শিক্ষকরা

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদন :তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই শিক্ষক। কথায় কথায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল ধরা একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। তিনি বলতেন, দুর্বল ওরা না, বরং খুঁজে দেখো শিক্ষকদের দোষ ত্রুটি কোথায় আছে। শিক্ষকদের অসচেতনতার কারণে পিছিয়ে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনই ছাত্রদরদি মানুষ ছিলেন অধ্যাপক আবুল খায়ের জালাল উদ্দিন। একজন বিশ্বমানের শিক্ষাবিদ হওয়া সত্ত্বেও কত সহজে প্রান্তিক অঞ্চলের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য ভাবতেন তিনি, অকৃত্রিম ভাবে মিশতে পারতেন সকলের সঙ্গে। কখনো সখনো শাসন করতেন তিনি, কিন্তু তাঁর মধ্যে ছিল ভালোবাসার পরশ। নিজের হাতে চা খাওয়ানো ছিল তাঁর বড্ড পছন্দের। খোঁজ রাখতেন, আলাপ করতেন বিভিন্ন বিষয়ে– গান, কবিতা, চলচ্চিত্র, নাটক আর এর সঙ্গে নিত্য নতুন বইয়ের খোঁজখবর তো বটেই। কোনো বিষয়কে ধৈর্য ধরে নিরীক্ষণ করা, বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর একদম মনের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়াতে তাঁর ছিল অদ্ভুত ক্ষমতা। প্রাথমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলতেন ভাষা শেখাটাই মুখ্য কাজ, এমনকি গনিতও একটা ভাষা। বারবার তিনি বলতেন, শিক্ষককে অনেক বেশি যত্নবান হতে হবে। অনুসন্ধিৎসা বাড়াতে শিক্ষার্থীর মনের দুয়ারে উকি দিতে হবে, তার খিদে কোথায় তার জানতে হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় অনলাইনে সকলের প্রিয় সম্প্রতি প্রয়াত ডঃ জালাল উদ্দিনের দীর্ঘ কর্মজীবন ও চিন্তাভাবনার কথা উঠে আসে তাঁর স্মৃতিচারণা সভায়। সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক দিব্য গোপাল ঘটক, দিলদার হোসেন, সুদেষ্ণা মৈত্র, সৌমিত্র ভট্টাচার্য, মোশারফ হোসেন, গিয়াস উদ্দিন মন্ডল প্রমূখ। অনুসন্ধান সোসাইটির উদ্যোগে এদিন স্মৃতিচারণা সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন সম্পাদক গৌরাঙ্গ সরখেল, সঞ্চালনা করেন নায়ীমুল হক।

Advertisement

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ