Master of Law তে প্রথম স্থান এবং স্বর্ণপদক পেয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন ফারজানা আমানি হাসান
সেখ ইবাদুল ইসলাম : মাস্টার অফ ল পাস করেছেন এরকম ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ইদানিং কমে যাচ্ছে। এলএলবি পাস করার পরে পরেই সাধারণত ছেলেমেয়েরা আইনি পেশায় যুক্ত হয়ে যায়। অত্যন্ত কলকাতার অত্যন্ত কৃতি ছাত্রী ফারজানা আমানি হাসান এবছর মাস্টার অফ লতে কৃতিত্বের সঙ্গে শুধু পাশই করেননি একইসঙ্গে তিনি স্বর্ণপদকও পেয়েছেন যা এক কথায় অনবদ্য ও প্রশংসনীয়। ফারজানা Brainware University থেকে মাস্টার অব ল ক পাস করেছেন। গত কয়েকদিন আগে তাকে মাস্টার অফ লতে প্রথম স্থান ও স্বর্ণপদক পাওয়ার জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।
আইনি পেশায় যুক্ত হয়েছেন ফারজানা আমানি হাসান । তাঁর বাবা আইয়ুব হাসান কলকাতা থেকে প্রকাশিত পূবের কলম পত্রিকায় কর্মরত। খুবই স্বল্প বেতন পান, তারপরেও মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়েছেন, উচ্চ শিক্ষা দিয়েছেন একই সঙ্গে প্রতিভাধর মেয়েকে সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাবা হিসাবে আইয়ুব হাসান এবং মা হাসিনা হাসান প্রচন্ড পরিশ্রম করেছেন।
স্কুল জীবন থেকেই মেধাবী ছিল ফারজানা আমানি হাসান। দশম শ্রেণী এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রথম বিভাগে পাশ করে এবং ভালো ফলাফল করেছিল। এলএলবি তেও উল্লেখযোগ্যভাবে সাফল্য লাভ করেছিল। মাস্টার অফ লতে তিনি যে সাফল্য পেয়েছেন তা এক কথায় বাঙালি মুসলিম সমাজের মেয়েদের কাছে বিরল দৃষ্টান্ত হিসাবে বিরাজ করবে।
ফারজানা আমানি হাসান তার আগামী ভবিষ্যৎ আরো সুন্দর এবং উজ্জ্বল হোক আমরা এই কামনা করছি। একই সঙ্গে তার বাবা এবং মাকেও আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি এমন এক সন্তানকে সমাজে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার জন্য। ফারজানা আমানি হাসান বাংলার জনরবকে জানিয়েছেন তার এই সাফল্যের পেছনে তার বাবা এবং মায়ের অবদান অনস্বীকার্য একইসঙ্গে তাঁর শিক্ষক শিক্ষিকা এবং বেশ কিছু ব্যক্তির অবদানকে তিনি কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ করেছেন।