কলকাতা প্রচ্ছদ 

সুপ্রিম নির্দেশ মেনে তিন মাসের মধ্যে চাকরিহারাদের নিয়োগ করতে পারবে এস এস সি? এ নিয়ে চেয়ারম্যানের বার্তা?

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পর কোন পথে সমাধান তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারি স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে চিঠি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। আর এ নিয়ে আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন,“রাজ্যের তরফে চিঠি পেয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই নিয়োগের কাজ শুরু হবে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হবে।” যারা ‘দাগি’ নন, নির্দেশ মেনে তাঁদের বয়সের খানিকটা ছাড় দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

২০১৬ এসএসসি-র (26,000 Job Cancellations) শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখে পুরো প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট (SSC Supreme court order)। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথাও বলেছে আদালত।

Advertisement

শুক্রবার এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এসএসসির চেয়ারম্যান (SSC Chairman) সিদ্ধান্ত মজুমদার পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন, এত কম সময়ের মধ্যে সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

নিজের বক্তব্যের সপক্ষে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান। তাঁর কথায়, “২২ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন আগেরবারে। পরীক্ষা নিতে হবে, ফলাফল প্রকাশ, অত ইন্টারভিউ নেওয়া, প্যানেল প্রকাশ, প্যানেলের মেয়াদ থাকে তো ১ বছর, ফলে পরবর্তী প্যানেলের জন্য অপেক্ষা করা. পুরো প্রক্রিয়া কখনই ৩ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়।”

সিদ্ধার্থবাবু এও বলেন, “শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরও রাজ্য থেকেও দ্রুত নিয়োগের কথা বলেছে। কীভাবে সবটা কতটা দ্রুত করা যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনাও করছি। আইনি পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। তবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।”

বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত রায়দানের সময় শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যে যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ফলে পুরো প্যানেলই বাতিল করা হল। এ প্রসঙ্গেই সামনে আসছে, কেন যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা গেল না? এর দায় কার? সাংবাদিক বৈঠকে একাধিকবার এই প্রশ্ন শুনে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় এসএসসির চেয়ারম্যানকে।

সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “আদালত রায় দিয়ে দিয়েছে। একই প্রশ্ন বারবার করে আমার বক্তব্য জানতে চাওয়া ঠিক নয়। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। দায় কার জানতে হলে, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের ২৩ ও ২৮ নম্বর প্যারাগ্রাফটা পড়ে দেখুন। ওখানেই সব লেখা আছে।”

আদালত জানিয়েছে, যাঁরা যাঁরা এর আগে অন্য কোনও সরকারি দফতরে চাকরি করতেন, তাঁরা চাইলে তিন মাসের মধ্যে আগের কাজে যোগ দিতে পারেন। এ প্রসঙ্গে এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘যাঁরা অন্য চাকরি থেকে শিক্ষকতায় এসেছিলেন, সেই তথ্য আমাদের কাছে নাও থাকতে পারে। তবে যিনি চাকরি পরিবর্তন করেছিলেন, তিনি সবটা জানেন, পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন তাঁকেই করতে হবে। এজন্য আমরা প্রয়োজনে সুপারনিউমেরি (অতিরিক্ত) পদ তৈরি করে দেব।’’

নতুন নিয়োগে শুধু কি চাকরিহারারা নাকি নতুনরাও অংশ নিতে পারবেন, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ধোঁয়াশা রয়েছে। এসএসসির চেয়ারম্যানও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা স্পষ্ট উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে আমরা আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছি।” চাকরিহারাদের উদ্দেশে তিনি এও বলেন, “ধৈর্য হারাবেন না!” নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীদের বয়সের ছাড় দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সবটাই হবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ