যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি! রহস্য?
বাংলার জনরব ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই এবার পুলিশ ফাঁড়ি হতে চলেছে। বারবার নানা বিষয় নিয়ে অশান্তির জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হল। কলকাতা পুলিশের পাঠানো সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এনিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে খবর। তবে কলকাতা পুলিশের এই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে যাদবপুর ক্যাম্পাসে নজিরবিহীন অশান্তি তৈরি হয়। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার দাবিতে বাম, অতি বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। শিক্ষামন্ত্রীকে বেরতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। পালটা শিক্ষামন্ত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ তুলে সরব হন টিএমসিপি সদস্যরাও। সবমিলিয়ে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আক্রান্ত হন উপাচার্য, অধ্যাপকরাও। এরই মাঝে অভিযোগ ওঠে, ছাত্রদের ঘেরাওয়ের মাঝখান দিয়ে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যেতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকায় আহত হন এক ছাত্র।

শুধু এই ঘটনাই নয়, আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কারণে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কখনও কখনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনওভাবেই ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করতে দেননি কোনও উপাচার্য। সেটাই দস্তুর। সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে ‘আজাদ কাশ্মীর’, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’-এর মতো স্লোগান লেখা ইস্যুতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দেশদ্রোহের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শিক্ষার নামে সেখানে দেশ বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করছেন আইনরক্ষকরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী রেজিস্ট্রার ডঃ ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ”আমরা কলকাতা পুলিশের একটি মেল পেয়েছি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে আউটপোস্ট করার জন্য জায়গা চেয়েছে। এখন বিষয়টি নিয়ে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। আপাতত এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমিও এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না।”

