ছ’জনকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ তরুণের! রহস্য কী?
বাংলার জনরব ডেস্ক : মাকে খুন করেছি, ভাই এবং প্রেমিকাকেও খুন করেছি— নিজেই থানায় গিয়ে পুলিশকে জানালেন কেরলের তরুণ। বছর তেইশের ওই তরুণ থানায় আত্মসমর্পণ করে দাবি করেন, তিনি ছ’জনকে খুন করেছেন। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে পরে পাঁচটি মৃত্যুর তথ্যই নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত তরুণ ধারালো অস্ত্র এবং হাতুড়ি দিয়ে মাকে খুনের চেষ্টা করেন। তবে তাতে সফল হননি। মহিলা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণের বিদেশে ব্যবসা রয়েছে। অভিযুক্তের দাবি, ওই ব্যবসায় প্রচুর দেনায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। দেনা মেটানোর জন্য পরিবারের সদস্যদের থেকে সাহায্য চান। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেননি। সেই কারণেই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি অভিযুক্তের। যদিও এই দাবি কতটা সত্য, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাঁর মোবাইলের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত মাদকাসক্ত কি না, তা-ও তদন্তের আওতায় রাখছে পুলিশ।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশের অনুমান, প্রতিটি হত্যাই পূর্বপরিকল্পিত। সোমবার সন্ধ্যায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিরুঅনন্তপুরমের তিনটি পৃথক জায়গায় এই ঘটনা ঘটে। এর পরে থানায় গিয়ে অভিযুক্ত দাবি করেন, তিনি নিজের মা, ভাই, ঠাকুমা, দুই আত্মীয় এবং প্রেমিকাকে খুন করেছেন। নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন অভিযুক্ত।