বৃদ্ধাকে ভয় দেখিয়ে লুট নগদ টাকা ও গয়না, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর ঘটনায় চাঞ্চল্য
বিশেষ প্রতিনিধি : কলকাতার পুলিশের সদর দফতর লালবাজার থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে এক বৃদ্ধাকে বাড়িতে আটক করে ১৫ হাজার টাকার নগদ এবং সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল ডাকাতের দল। পুলিশ খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং বৃদ্ধার কাজের মেয়ে এবং বাড়ির কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে তদন্ত শুরু করেছে বড়তলার থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩২৬/এ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ বাসিন্দা বছর ৬৮-এর মধুমিতা মিত্রের তিনতলা বাড়িতে বুধবার রাতে ডাকাতি হয়। তিনি বাড়িতে একাই থাকেন। দেখভালের জন্য রয়েছেন কেয়ারটেকার ও পরিচারিকা। মেয়ে থাকেন বেঙ্গালুরুতে। কয়দিন আগে মেয়েকে বিমানবন্দরে ছাড়তে গিয়ে সেখানে পড়ে যান বৃদ্ধা। তাঁর ফিমার হাড় ভেঙে যায়। বাড়িতে শয্যাশায়ী তিনি।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার সময়ে কেয়ারটেকার বাড়ির কলিং বেল বাজান। তিনতলা থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে গেট খুলে দেন প্রৌঢ়ার দেখভালের দায়িত্বে থাকা বৃদ্ধা পরিচারিকা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পুলিশকে ওই পরিচারিকা জানিয়েছেন, কেয়ারটেকারের জল শেষ হয়ে গিয়েছিল। তিনি জল ভরতে ভিতরে ঢুকছিলেন। তখনই এক দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ে। প্রৌঢ়াকে ভয় দেখিয়ে লুঠপাঠ চালানো হয়। ঘটনায় এক বা একাধিক কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বৃদ্ধার পরিচারিকা জানান, “কেয়ারটেকার আমাকে বলে জল খাবো। আমি নিচে না এসে রিমোটের সাহায্যে গেট খুলি। তারপর ঘুমিয়ে পড়ি। আমি আর কিছু জানি না।”
এখানেই প্রশ্ন জাগছে, দুষ্কৃতী কী করে জানল কখন গেট খোলা হবে? গেট খুলে দেওয়ারর সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা হল না কেন? ঘটনায় কি কেয়ারটেকার ও পরিচারিকা বা পরিচিত অন্য কেউ যুক্ত? দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা শহরে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বয়স্ক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে যেসব পরিবারের ছেলে মেয়েরা কলকাতার বাইরে থাকে তাদের মা বাবা কলকাতায় থাকেন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে লালবাজার।