কলকাতা দেশ 

শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মামলার শুনানি শেষ! রায় দান স্থগিত, কী বলল শীর্ষ আদালত

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার মামলার শুনানি পর্ব শেষ করার আগে এ কথা জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। এ অবস্থায় আদালত কী করতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। সোমবার এই মামলায় বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনে সুপ্রিম কোর্ট। তবে কারও বক্তব্যেই নতুন কিছু উঠে এল না। সিবিআই জানাল, তারা চাইছে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায়ই বহাল থাকুক। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) জানাল, ‘র‌্যাঙ্ক জাম্প’ এবং প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য থাকলেও ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য তাদের কাছে নেই। সরকার পক্ষ জানাল, এত জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।

সোমবার দুপুর ২টোয় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি খন্নার এজলাসে শুনানি শুরু হয়। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলল শুনানি। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছেন প্রধান বিচারপতি। সিবিআই সোমবার জানায়, এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে তারা। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় হাই কোর্টের রায়কেই সমর্থন করছে তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। হাই কোর্টের রায় যথার্থ। ওই রায়ই বহাল রাখা হোক।”

Advertisement

এই মামলায় অন্যতম সমস্যা হল যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করার ক্ষেত্রে সমস্যা। কত জন যোগ্য এবং অযোগ্যকে বাছাই করা হয়েছে, তা নিয়েও এসএসসিকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তাতে কমিশনের আইনজীবী জানান, ‘র‌্যাঙ্ক জাম্প’ এবং প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে। কিন্তু ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য কমিশনের কাছে নেই।

সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, “সমস্যা তো এখানেই। পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে আপনাদের তথ্য মিলিয়ে দেখেননি। আপনারা বলতে পারছেন না কোনটি আসল তথ্য। কিন্তু সিবিআইয়ের তথ্য গ্রহণ করলে বলতে হবে বনসলের তথ্য আসল। উল্টো দিকে অন্য পক্ষ বলছেন, তাঁদের নম্বর আসল। বনসলের তথ্য সঠিক নয়।”প্রধান বিচারপতি জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এসএসসি না কি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে? অনেক সন্দেহ রয়েছে! পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?” তবে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র ‘যোগ্য’ চাকরিজীবীদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সোমবার শীর্ষ আদালতে জানান, যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ