বিচার-পর্ব শেষ ১৮ জানুয়ারি আরজিকর কান্ডের চূড়ান্ত রায় দান
বাংলার জনরব ডেস্ক : আগামী ১৮ই জানুয়ারি শনিবার দুপুর দুটোই শিয়ালদা আদালতে আরজিকর কান্ডের বিচার পর্ব শেষে চূড়ান্ত রায়দান হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই আরজিকর কান্ডের বিচার-পর্ব শেষ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র রায় দান বাকি আছে।
বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ আদালতে ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানেই রায়দানের চুড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন বিচারক।
গত বছরের ৮ অগস্ট আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকেৈ ধর্ষণ ও খুন করা হয়। তদন্তে নেমে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে তদন্তভার হাতে নিয়ে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই-ও। যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তা যে একজনের পক্ষে করা সম্ভব যে দাবি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক তদন্তে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয় রায়কে সেমিনার হলের বাইরে দেখা গেছিল। তার হেডফোনও পাওয়া গিয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে উদ্যত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অন্যদিকে অভিযুক্তর আইনজীবীর দাবি, ‘সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। সে ষড়যন্ত্রের শিকার।’
এর আগে সঞ্জয়ও সংবাদমাধ্যমের সামনেও মুখ খুলে প্রায় একই দাবি করেছিল। সরাসরি নিশানা করেছিল পুলিশকেও। তারপর আদালতে আনার সময়ে তার পুলিশি নিরাপত্তাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
সিবিআই তদন্ত অবশ্য একেবারেই খুশি নন নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে, তবে তাদের আড়াল করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সিবিআই সময়ে চার্জশিট দাখিল না করতে পারায় ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এরপরই পুনরায় মেয়ের খুনের বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। আদালত পুনরায় মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছে।