দেশ 

এফবিআইয়ের ওয়ান্টেড তালিকায় নাম প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা দিল্লি আদালতে জানালেন ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার প্রাক্তন কর্তা! নেপথ্যে রহস্য?

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি তা সত্ত্বেও ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার প্রাক্তনকর্তা নিরাপত্তা চেয়ে দিল্লি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং)-এর প্রাক্তন কর্তা বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি আমেরিকার নাগরিক গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত। প্রাক্তন এই গোয়েন্দা কর্তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আমেরিকার গোয়েন্দা দপ্তর চার্জশিট পেশ করেছে বলে জানা গেছে। আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই এর ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। এই কথা উল্লেখ করে দিল্লি আদালতে নিজের প্রাণহানির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিকাশ যাদব। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষিদ্ধ খলিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে)-এর নেতা গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত।

দিল্লিতে তোলাবাজি সংক্রান্ত একটি মামলাতেও অভিযুক্ত বিকাশ। ওই মামলায় দিল্লির পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে অবশ্য জামিনে মুক্ত। ওই মামলায় শুনানির সময়ে দিল্লির এক আদালতে হাজিরা দিতে হয় তাঁকে। প্রাণের ঝুঁকির কথা জানিয়ে আপাতত ওই তোলাবাজির মামলায় আদালতে হাজিরা না দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এমনকি শুনানির সময় অনলাইনেও হাজিরা দিতে চান না তিনি। তাঁর আশঙ্কা, এর ফলে তিনি কোথায় আছেন, তা ‘ট্র্যাক’ করা যেতে পারে। ফলে তাঁর প্রাণের ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

Advertisement

প্রসঙ্গত, পন্নুনকাণ্ডে কোনও ভারতীয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছে মোদী সরকার। গত মাসে বিকাশের ভাই অবিনাশ যাদবও রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ফোনে তাঁর সঙ্গে বিকাশের কথা হয়েছিল। তখনই পন্নুনকাণ্ডে জড়িত থাকার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন সরকারি আধিকারিক। এমনকি অবিনাশের দাবি, বিকাশের পরিবার জানতেনই না তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা জানতেন, বিকাশ সিআরপিএফ-এ কর্মরত।

পান্নুন আমেরিকা এবং কানাডার দ্বৈত নাগরিক। কানাডায় আশ্রয় নেওয়া পান্নুন গত সেপ্টেম্বরে সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের উপর হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এর পর তাঁর চণ্ডীগড়ের বাড়ি এবং অমৃতসরের জমি বাজেয়াপ্ত করেছিল এনআইএ। প্রসঙ্গত, পঞ্জাবে পান্নুনের বিরুদ্ধে ২২টি অপরাধের মামলা রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি দেশদ্রোহিতার।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ