আর জি করের ঘটনায় নিরপেক্ষভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে বললেন ক্রুদ্ধ পুলিশ কমিশনার!
বিশেষ প্রতিনিধি : কলকাতা পুলিশ কমিশনার গতকাল গভীর রাতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন কলকাতা বাসীর প্রতি। তিনি বলেছেন আমরা এই মামলায় কি করিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে সব কাজ করেছি। তার পরেও আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চলছে! পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে আমরাও একান্তভাবে ক্ষমা প্রার্থী কারণ তিনি যা করেছেন সেটা আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। তবে আর জি কর মেডিকেল কলেজের মত একটা স্পর্শকাতর এলাকায় যে বুধবার রাতে হামলা হবে সেটা আঁচ করতে কেন পারেন নি পুলিশ কমিশনার, একটু বলবেন একটু ব্যাখ্যা দেবেন? কার নির্দেশে কিভাবে সেমিনার হলের পাশের রুমটাকে ভাঙ্গা হলো সেই নিয়ে কলকাতা পুলিশ কী করছে!
মাননীয় পুলিশ কমিশনার কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী এই কারণেই যে মেডিকেল কলেজের মত একটা স্পর্শকাতর এলাকায় যেভাবে দুষ্কৃতীরা ঢুকে হামলা চালালো তার পরেও কলকাতা পুলিশ কিছুই জানতে পারল না কেন? আমরা তো কিছু বলছি না কলকাতার নাগরিকরা কিছু বলছেন না খোদ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিজেই বলেছেন যা আপনাদের তদন্ত্র প্রক্রিয়া দেখে আমাদের আস্থা থাকবে কিভাবে?
পুলিশ কমিশনার ক্ষুব্ধ হতেই পারেন স্বাভাবিক সেটাই কারন যেভাবে প্রচার চলছে তাদের বিরুদ্ধে তাতে অবশ্যই পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে যে একজন চিকিৎসকের লাশ পাওয়ার পর তা নিয়ে ওই মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসা বাদ কি করেছিল কলকাতা পুলিশ? বড্ড জানতে ইচ্ছা করে পুলিশ কমিশনারের কাছে একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ফলাও করে যেভাবে প্রচার করা হলো তাতে আর যাই হোক তদন্ত কি ব্যাহত হয়নি? আপনার কি একবারও মনে হয়নি যে এই ঘটনার পেছনে শুধুমাত্র সঞ্জয় একা নয়, আরো কয়েকজন থাকতে পারে! আমাদের মত অর্বাচীন রা পোস্টমটমের বিবরণ শুনেই বলে দিতে পারছি একা নয় অনেকেই থাকতে পারে! ঘটনার তদন্ত চলাকালীন সময়ে পুলিশ কমিশনার কে একবারও বলেছেন একা নয় অনেকেই থাকতে পারে!
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সামনে আসার পর যখন একের পর এক বিশেষজ্ঞরা এবং মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ল বিষয়টিকে নিয়ে তখনই যেন কোথাও নড়েচড়ে বসলো কলকাতা পুলিশ। তাইতো!