আরজি করে দুষ্কৃতি হামলা নিয়ে প্রতিবাদে গর্জে ওঠলেন শিল্পীরাও, রেশমি বললেন, বিনাশ কালে বুদ্ধি নাশ, ‘মুখ্যমন্ত্রী গুন্ডাবাহিনীর উপর ভরসা করছেন মানে প্রশাসন ভেঙে পড়েছে’ দাবি কৌশিক সেনের
বিশেষ প্রতিনিধি : স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে কবে জেগেছিল কলকাতা, তা এখন স্মরণ করা খুব কঠিন হয়ে যায়। জাগে নিজে একবারে তা নয় প্রতিবছরই মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবস পালন করা রেওয়াজ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে। তবে এভাবে রাতের দখল মেয়েরা নেবে স্বাধীনতার মধ্যরাতে এটা কল্পনা করা যায়নি। কিন্তু ঘটলো সমগ্র কলকাতা গর্জে উঠলো একটি ইনসাফের দাবিতে। আর একইসঙ্গে কলকাতা দেখল স্বাধীনতার মধ্যরাতে স্বাধীন দেশের একটি মেডিকেল কলেজের উপর দুষ্কৃতী হামলা। পুলিশ প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। দুষ্কৃতীরা আর জি কর মেডিকেল কলেজের ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালালো আধঘন্টা ধরে। যা কলকাতার মতো শহরে কল্পনাতে বলা যেতে বলা যেতে পারে।
আর এই ঘটনায় স্তব্ধ হয়েছে অভিনেতা কৌশিক সেন ও তার স্ত্রী রেশমি সেন। স্বাধীনতার মধ্যে রাত দখল করে রেখেছিল এরা একাডেমি চত্বর। নেপথ্যে তখন ধ্বনি উঠেছে, “স্বাধীনতার ৭৮, আনবে নতুন ভোর”! আর এই প্রতিবাদ চলাকালীন সময়ে খবর পৌঁছালো কলকাতার আরেক প্রান্ত চার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাতের দখল নিচ্ছে মেয়েরা সেই আরজিকর মেডিকেল কলেজে দুষ্কৃতী হামলা হয়েছে। এ নিয়ে বলতে গিয়ে রেশমী সেন সংবাদমাধ্যমকে বলে ফেললেন, বিনাশ কালে বুদ্ধি নাশ। তাঁর ভাষায়,”২০২৬-এ নির্বাচন। তার আগে প্রশাসনের এই ভূমিকা বলছে, বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে রাজ্য সরকারের।” একই সুর কৌশিকের কথাতেও। তিনি আরও এক ধাপ সুর চড়িয়ে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী গুন্ডাবাহিনীর উপরে ভরসা করছেন মানে প্রশাসন ভেঙে পড়েছে।”
কয়েকদিন আগেই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল, যে ঘরে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুন হয়েছিল তদন্ত শেষের আগেই সেই ঘর-সহ অন্যান্য ঘরে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এর পরেই ১৪ অগস্ট রাতে বহিরাগতদের হামলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। ঘটনায় বিষণ্ণতার ছোঁয়া অভিনেতা দম্পতির কণ্ঠে। একযোগে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, “এমন কী ঘটনা চাপা দিতে মরিয়া রাজ্য সরকার? যার জেরে বহিরাগতদের এই হামলা?”
সম্প্রতি, বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং অন্তবর্তী সরকার গঠনের সাক্ষী ভারত। আরজি কর-কাণ্ড কি দেশে তেমনই কোনও বড় বদল আনতে চলেছে? এর জবাব দিয়েছেন কৌশিক। তাঁর কথায়, “বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি ভারতে হবে না। কারণ, দুই দেশের ইতিহাস আলাদা। তবে ক্ষমতা কায়েম রাখতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভবুদ্ধির সাহায্য নিতে হবে। না হলে, গণতন্ত্রের সাহায্য নিয়ে জনগণ ইভিএম-এ তার জবাব দেবে।” তাঁর আরও দাবি, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু চাপা পড়ে গেলেও আরজি কর-কাণ্ড মনে রাখবে জনগণ। সৌজন্যে রাজ্য সরকারের এই ভুল পদক্ষেপ।