বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার তিন, এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি বললেন? জানতে হলে ক্লিক করুন
বাংলার জনরব ডেস্ক : কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে নিউটাউনে ‘খুন’ বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম! গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের ৩ বারের সাংসদের লাস্ট নিউটাউন এর এক অভিজাত ও আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশের ওই সাংসদ আট দিন ধরে নিখোঁজ থাকার কারণে ওই সাংসদের খোঁজে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কলকাতা পুলিশ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় জানিয়েছেন তাদের সাংসদকে খুন করা হয়েছে আর এই খুনের চক্রান্ত হয়েছিল বাংলাদেশেই। এখনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ।ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বাংলাদেশের পুলিশ। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। যদিও এখনও পর্যন্ত আজিমের দেহ উদ্ধার ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়নি।
গত ১২ মে চিকিৎসা করাতে কলকাতা এসেছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। তার পর পরিবারের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করেননি তিনি। ১৪ মে থেকে তাঁর ফোনও বন্ধ ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, শেষবার তাঁর মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন উত্তরপ্রদেশে পাওয়া গিয়েছিল। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে আনোয়ারুলের পরিবার যোগাযোগ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর যোগাযোগ করে দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে। ওই সাংসদের খোঁজে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিধাননগর পুলিশ। তদন্তে নেমে একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেখান থেকেই পুলিশ সূত্রে বুধবার দাবি করা হয়, খুন করা হয়ে থাকতে পারে ওই সাংসদকে।
বুধবার এনিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, “১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল ভারতে গিয়েছিলেন। তার দুদিন পর থেকে ওনার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। উদ্বিগ্ন হয়ে আনোয়ারুলের পরিবার আমাদের কাছে সাহায্য চায়। তার পর থেকে আমাদের পুলিশ ভারতের পুলিশ সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। আজ আমাদের কাছে খবর আসে খুন করা হয়েছে আনোয়ারুলকে। ভারতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের পুলিশ তদন্তে নামে। এই খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সন্দেহে ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আপনারা জানেন ঝিনাইদহ এলাকাটি সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা। এইবারে তিনি সেখান থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার পরই চিকিৎসা করাতে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটে। এই ঘটনার তদন্তে ভারত আমাদের সবরকমভাবে সাহায্য করছে। আমরা এখন এইটুকুই বলতে পারি কলকাতার একটি বাড়িতে ওনাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। কী কারণে তাঁকে খুন করা হল তা জানতে ভারতের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।” ফলে আনোয়ারুল আজিমের খুন হওয়া নিয়ে যে তথ্য সামনে আসছে তাতে দানা বেঁধেছে রহস্য।
তবে এখনো পরিষ্কার নয় বাংলাদেশের ওই সাংসদ বন্ধুর বাড়ি থেকে কিভাবে কেন বাইরে বেরিয়ে ছিলেন। পড়ানো করে বন্ধুর বাড়ি থেকে সরাসরি কিভাবে নিউ টাউনে এলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে। তবে কথা ঠিক যে কলকাতার শহরে এখন অপরাধীদের এক বিরাট চক্র কাজ করছে। সেই চক্রের স্বীকার হলেন কিনা বাংলাদেশের সাংসদ টা সরকারকে জানতে হবে।