দেশ 

রামদেবের ক্ষমা প্রার্থনা মঞ্জুর করলো না শীর্ষ আদালত!

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা বিজ্ঞাপন দেওয়ার দায়ে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র রসের মুখে পড়লেন যোগ গুরু রামদেব এবং পতঞ্জলি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা রামদেবের সহযোগী আচার্য বালা কৃষ্ণ। এই দুজন দুজনের হলফনামা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন মঞ্জুর করলো না। শীর্ষ আদালত উল্টেড শীর্ষ আদালত বলেছে,‘‘আমরা অন্ধ নই’’। পুরো বিষয়টি নিয়ে আদালত ‘‘উদার হতে চায় না’’ বলেও মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট এ-ও জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ আদালত।

বুধবার মামলার শুনানি চলাকালীন, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমান্নুলার ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘ক্ষমাপত্র কাগজে-কলমে রয়েছে। ওঁদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে। আমরা এই ক্ষমাপত্র মেনে নিচ্ছি না। আমরা মনে করি ইচ্ছাকৃত ভাবে অঙ্গীকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’’

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, আদালতে পাঠানোর আগে ক্ষমাপত্র সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন রামদেব। সেই বিষয়েও যোগগুরু এবং তাঁর সহযোগীর সমালোচনা করেছে শীর্ষ আদালত। সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি কোহলি বলেন, ‘‘বিষয়টি আদালতে পৌঁছানোর আগে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এটি আমাদের জন্য আপলোড করা হয়নি। স্পষ্টতই ওঁরা প্রচারে বিশ্বাসী। তাই এমনটা করা হয়েছে।’’

মামলার হলফনামা পড়ার সময় বিচারপতি আমান্নুলা রামদেবের আইনজীবী মুকুল রোহতগীকে বলেন, ‘‘আপনারা হলফনামাতেও ফাঁকি দিচ্ছেন। এটা কে তৈরি করেছে, আমি অবাক।’’ এর পর মুকুল জানান, তাঁর মক্কেল আইনের বিষয়ে পেশাদার নন। তাই ভুল হয়েছে। এর পর রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা আদৌ আন্তরিক কি না সেই প্রশ্ন তুলে বিচারপতি আমান্নুলা বলেন, ‘‘আমাদের নির্দেশের পরেও ভুল হয় কি করে? আমরা এই ক্ষেত্রে এতটা উদার হতে চাই না।’’ পুরো বিষয়টিতে সমাজে সঠিক বার্তা দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ